বিনা ডিজির অপসারণ দাবিতে স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ
Published: 24th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মহাপরিচালকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ কর্মসূচির চলার সময় নিরাপত্তার স্বার্থে বিনার প্রধান ফটকে তালা দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমঝোতা হলেও স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা ডিজির অপসারণ দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
এর আগে ১৬ মার্চ থেকে বিনার মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হয়। বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও এলাকাবাসীর ব্যানারে টানা কর্মসূচি চলছিল। এতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে যায়। এর মধ্যে গত শুক্রবার আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে মহাপরিচালক নিজ কার্যালয়ে ফেরেন। এমন খবরে গত শনিবার স্থানীয় বিএনপি ও এলাকাবাসীর একাংশ বিনা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে।
আজও মহাপরিচালক কার্যালয়ে এসেছেন—এমন খবরে বিনা কার্যালয়ের সামনে আবারও বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল রশিদ, ময়মনসিংহ মহানগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম, ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম, জেলা দক্ষিণ যুবদলের কোষাধ্যক্ষ রিপন আহমেদ, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আকন্দ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ওমর ফারুক প্রমুখ।
বিক্ষোভকারীরা মহাপরিচালককে আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে বলেন, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপক্ষে আওয়ামী পেশাজীবীদের লাঠিমিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডিজি আবুল কালাম আজাদ। গত মাসেও তিনি ২০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম হোসাইন আলীকে চাকরি দিয়েছেন। অবিলম্বে এই ডিজিকে অপসারণ করা হোক, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে আবুল কালাম আজাদের কার্যালয়ে গেলে তিনি প্রকল্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জানিয়ে বাইরে যান। পরে কার্যালয়ে আসবেন জানালেও ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করেও তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বলেন, ‘বাইরে যারা কর্মসূচি করছেন, তাঁরা কী কারণে করছেন জানি না। অফিসের অভ্যন্তরে যে সমস্যা ছিল, আজ সব কলিগের সঙ্গে বসে তা মিটিয়ে নিয়েছি। তাঁরা যেসব যৌক্তিক দাবি দেন, তার সব মেনে নেওয়া হয়েছে।’
ছাত্রলীগ নেতাকে চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে বিনার ডিজি বলেন, ‘আমাদের একটি বড় প্রকল্পে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দুই সদস্যের কমিটির মাধ্যমে ফাইল উপস্থাপিত হলে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। আমি চাকরিপ্রার্থী সম্পর্কে জানি না। হাজিরার ভিত্তিতে মাসে ২২ দিন কাজ করবেন ওই শ্রমিক।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স থ ন য় ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লা বাজার পরিদর্শনে সদর ইউএনও’র অসন্তোষ
ফতুল্লা বাজারের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাফর সাদিক চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ফতুল্লা বাজার পরিদর্শন করেন।
এসময় তিনি বাজারের অবকাঠামো, চারপাশের চিত্র দেখেন এবং বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যা শুনেন এবং সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।
এছাড়াও তিনি বিগতদিনে যারা বাজারের উন্নয়ন কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাঁদের সমালোচনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোঃ চৌধুরী, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ মাসুম, রিপোটার্স ক্লাবের সদস্য সচিব মনির হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আঃ খালেক টিপু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ আলিম লিটন, ফতুল্লা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য কাজী মাঈনউদ্দীন প্রমুখ।