নোয়াখালীতে এনসিপির নেতা হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলা, আহত ৫
Published: 24th, March 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার জাহাজমারা বাজারে ওই ঘটনা ঘটে। হান্নান মাসউদের অভিযোগ, স্থানীয় বিএনপি নামধারী কিছু লোকের নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় এসসিপির পাঁচ-ছয়জন সমর্থক আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে রাত সাড়ে আটটা থেকে জাহাজমারা বাজারে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন এনসিপির কর্মী-সমর্থকেরা। রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছিল।
অবস্থান কর্মসূচিস্থলে থাকা হান্নান মাসউদের প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইউছুফ প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ এলাকার দুস্থ মানুষের খোঁজখবর নিতে হাতিয়ায় আসেন। আজ বিকেলে তিনি উপজেলার জাহাজমারা বাজারে যান। ইফতার শেষে সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে তিনি বাজারে একটি পথসভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় বিএনপি নামধারী একদল লোক বাজারের পশ্চিম দিক থেকে একটি মিছিল নিয়ে অতর্কিতে পথসভায় বাধা দেন এবং হামলা চালান। তাদের হামলায় মো.
মোহাম্মদ ইউছুফের অভিযোগ, হামলাকারীরা আবদুল হান্নান মাসউদের ওপর হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় উপস্থিত জনতা ধাওয়া করলে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে তাঁরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবিতে হান্নান মাসউদের নেতৃত্বে জাহাজমারা বাজারে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন এনসিপির নেতা–কর্মীরা। দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এ নিয়ে কথা হয় এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এমন সময় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন মিছিল নিয়ে আমাদের মিটিংয়ে ঢুকে যায়। তাঁরা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
হান্নান মাসউদ আরও বলেন, ‘হামলার সঙ্গে জড়িত চিহ্নিত চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে আমরা সড়কে অবস্থান নিয়েছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজমারায় কারা কী করেছে, তার কিছুই জানেন না তিনি।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, হান্নান মাসউদের পথসভায় হামলার খবর তিনি শুনেছেন। তিনি ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ন ন ন ম সউদ র প প রথম আল ক এনস প র পথসভ য় ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কলমাকান্দায় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মাদ্রাসাপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হোসেন (৫৫) নামে এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মোজাম্মেল হোসেনকে আদালতে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেনকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোজাম্মেল উপজেলার লেংগুরা ইউনিয়নের দক্ষিণ চৈতানগর গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পরীক্ষার ফি দেওয়ার জন্য তার বাবার কাছ থেকে ১৩০ টাকা নেয়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে মোজাম্মেল হোসেনের দোকান থেকে ১০ টাকার একটি কলম কিনে মনের ভুলে বাকী টাকা দোকানে ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুসময় পর ফেলে আসা টাকা আনতে পুনরায় মোজাম্মেলের দোকানে যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় মোজাম্মেল বলেন, দোকানে টাকা নেই। বাড়ি গিয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা আনতে। পরে সে মোজাম্মেলের বাড়িতে টাকা আনতে যায়। এসময় মোজাম্মেল ওই শিক্ষার্থীর পিছু নেন। সে ঘরে প্রবেশ করতেই মোজাম্মেল ঘরের দরজা বন্ধ করে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ রয়েছে, ১৭ ও ১৯ জানুয়ারি চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে পুনরায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন মোজাম্মেল। আর এ ঘটনাটি কাউকে বললে ওই শিক্ষার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলেও ভয় দেখান মোজাম্মেল। এরপর থেকে ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় যেতে রাজি হচ্ছিল না। কেন সে মাদ্রাসায় যেতে চায় না এর কারণ তার মা জানতে চাইলে কয়েকদিন পর বিষয়টি সে খুলে বলে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন সমকালকে জানান, মঙ্গলবার সকালে এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরপরই মোজাম্মেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।