অরাজনৈতিক সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সেবামূলক সংগঠন দুঃস্থ মানব কল্যাণ সোসাইটি দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ জনকল্যাণ মুখি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৩শতাধিক পরিবারের মাঝে পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে সমাজের অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

সোমবার  (২৪ মার্চ) বেলা ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন পাঠানটুলী বাসট্যান্ডে এ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সংগঠনের সভাপতি মোঃ মিঠুন মিয়া'র সভাপতিত্বে  ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণী এ আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নাসিক ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডি,এইচ বাবুল, সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ক্লাব ট্রাস্ট এর সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ শফিকুল ইসলাম আরজু, দৈনিক ইয়াদ পত্রিকার সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সবুজ, সাংবাদিক অপু রহমান, সমাজ সেবক ফিরোজ কায়সার, তরুন দলের নেতা দেলু, নাসিক ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা জাকির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা তোফাজ্জল, শিপন, রাজা, শাহিন, সজলসহ সংগঠন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপস্থিত অতিথিরা বলেন,  আমাদের সকলের  মানবিক চিন্তা থেকে সমাজের অসহায় মানুষের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত। তাহা হলে  সমাজে দারিদ্রতার সংখ্যা কমে যাবে। আজ এই সামাজিক সংগঠন যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাহা সত্যিই প্রশংসনিয়।আসুন আমরা সবাই যে যার সমর্থ অনুযায়ী মানুষের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। 

ঈদ সামগ্রী বিতরণে সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দুঃস্থ মানব কল্যান সোসাইটির সহ সভপতি শিহাব উদ্দিন শিহাব, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ আহম্মেদ খোকন, অর্থ সম্পাদক শিপন জোমাদ্দার, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সম্রাট, সহ-মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক পিয়াসা আক্তারসহ প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল য ণ ব তরণ স গঠন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

মধ্যরাতে সাংবাদিককে অবরুদ্ধ, পরে পুলিশে হস্তান্তর

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মধ্যরাতে জামাল হোসেন (৪৫) নামের এক সাংবাদিককে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। এরপর তাঁকে পুলিশের হস্তান্তর করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের টাউনহল মোড়–সংলগ্ন ফ্ল্যাট রোডে এ ঘটনা ঘটে। একদল তরুণ তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

জামাল হোসেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। একটি কুরিয়ার সার্ভিসের স্থানীয় পরিবেশক হিসেবেও রয়েছেন তিনি।

জামাল হোসেনের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. জিহাদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে তিনি জামাল হোসেনের সঙ্গে নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় কয়েকজন তরুণ জামাল হোসেনের কাছে এসে তাঁর পরিচয় জানতে চান। একপর্যায়ে গণজাগরণ মঞ্চের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে আয়োজিত একটি মানববন্ধনের ছবি দেখিয়ে সেখানে জামাল হোসেনের থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হন।

মো. জিহাদ আরও বলেন, জামাল হোসেন ওই তরুণদের পরিচয় জানতে চাইলে ইয়াছিন আরাফাত নামের তাঁদের একজন নিজেকে জাতীয় নাগরিক কমিটির লোক দাবি করেন। এরপর জামাল হোসেনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের কারণে আমাদের নেতাদের ফাঁসি হয়েছে।’ জামাল হোসেন তখনকার পরিপ্রেক্ষিতে মানববন্ধনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আরও কিছু তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

জামাল হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে জানতে চেয়ে আজ বুধবার দুপুরে ইয়াছিন আরাফাত নামের ওই তরুণকে ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘ভাই এটা সেন্ট্রাল বিষয়। আমি থানায় আছি। এখানে সবাই আছেন।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ইসহাক খোন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাংবাদিক জামাল হোসেনকে কারা অবরুদ্ধ করেছেন কিংবা পুলিশে দিয়েছেন, তা তিনি জানেন না। যাঁদের নাম শুনছেন, তাঁদের তিনি চেনেন না। এ ছাড়া সাংগঠনিকভাবে জামায়াতের এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।’

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় সুনির্দিষ্টভাবে কোনো মামলা নেই। গতকাল মধ্যরাতে লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। এ ছাড়া তখন তাঁকে পুলিশ উদ্ধার না করলে অপ্রীতিকর ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। ওসি আরও বলেন, যাঁরা তাঁকে আটক করেছেন, তাঁরা আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। বিষয়টি নিয়ে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ