৫ আগস্ট সেনাবাহিনী আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে : দিদারুল আলম
Published: 24th, March 2025 GMT
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) শহরের চাষাড়া বালুর মাঠস্থ ব্লু পিয়ার রেস্টুরেন্টে এ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি বক্তব্যে আমার বাংলাদেশ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: দিদারুল আলম বলেন, আগের সেনাবাহিনীর সাথে বর্তমান সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক পার্থক্য রেয়েছে।
গত ৫ আগস্ট সেনাবাহিনী আমাদেরকে অনেক সহযোগিতা করেছে। যারা সস্ত্র বাহিনীতে কাজ করছে তারা আমাদের সন্তান তারা আমাদের ভাই। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে ভারতে আমাদের কিছু করতে পারবে না। গুজব ছড়িয়ে দেশেক কেউ অশান্ত করবেন না।
তিনি আরো বলেন, শামীম ওসমানকে হুশিয়ার করে দিচ্ছি নারায়ণগঞ্জকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করবেন না। কোন ষড়যন্ত্র হলে আপনাকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। আপনি যেখানেই থাকেন সেখান থেকে ধরে নিয়ে আসব।
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক মোঃ শাহজাহান বেপারীর সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবি পার্টি সংগঠক অধ্যক্ষ এম আবু শাহাদাতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ, বি এম খালিদ হাসান ও এবি পার্টি ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম আমজাদ খান।
আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটি আহবায়ক মো: আবু বক্কর সিদ্দিক (সাজু) ব্যবস্থাপনায় আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, এবি পার্টি সংগঠক সৈয়দ গোলাম সামদানী, আমার বাংলাদেশ পার্টি মুন্সিগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সংগঠক মোঃ শরিফ হোসেন, এবি পার্টি ফতুল্লা থানার সংগঠক ফেরদৌসি আক্তার রেহেনা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ সভাপতি মাওলানা শফিকুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস নারায়নগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল আম র ব আম দ র স গঠক
এছাড়াও পড়ুন:
এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যা বিভক্তি তৈরি করে: নুরুল হক
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কয়েক দিন ধরে যে পরিস্থিতি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া, তাতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি, দেশে আরেকটি এক–এগারো ঘটানোর কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্র চলছে কি না।
কারণ, দীর্ঘ ১৬ বছর যে ফ্যাসিবাদ আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছিল, আমাদের সবার মনে রাখতে হবে, তারা কোনো দুর্বল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ছিল না। তাদের শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তি ছিল। বৈদেশিক সমর্থন ছিল। দেশের মধ্যে ব্যবসায়ী সমাজ থেকে শুরু করে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যেও তাদের একটা শক্ত অবস্থান ছিল।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্যবসা–বাণিজ্য সর্বক্ষেত্রে তাঁর সুবিধাভোগীরা এখনো দেশে অবস্থান করছেন। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটি মহল, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি তৈরি করার জন্য বর্তমান ছাত্র নেতাদের বিভ্রান্ত করছে। ছাত্রদের সঙ্গে রাজনৈতিক দল, সামরিক বাহিনী বা সরকারের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি করছে।
এখানে আমাদের পরিচিত ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছিলেন, সেই ঘটনাটি যদি সত্য হয়ে থাকে, তাদের সঙ্গে সেনানিবাসে সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমন আলাপ–আলোচনা করেছিল, বিষয়টি নিয়ে আরও আগে একটি শক্ত প্রতিবাদ দেখানোর দরকার ছিল। সেটি না করে তার বেশ কয়েক দিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া এবং সেটিকে কেন্দ্র করে যে পরিস্থিতি, সেটি আসলে অনাকাঙ্ক্ষিত। এরপর ফেসবুকে দেওয়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ভিডিও বক্তব্য দেখলাম। সেখানে তিনি মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করা নিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে তাঁদের যে আলোচনা হয়েছিল, তা নিয়ে কথা বলেছেন। রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে তাঁদের আরও সচেতন, দায়িত্বশীল ও যত্নবান হওয়া প্রয়োজন।
ছাত্রনেতারা, যাঁরা এ আন্দোলনের পরিচিত মুখ, তাঁদের মনে রাখতে হবে, এখন আর তাঁরা ছাত্র নন। তাঁরা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের জায়গায় আছেন। সুতরাং তাঁদের কোন কথায় প্রতিক্রিয়া তৈরি করে, সেটা ভাবা দরকার। এই মুহূর্তে কোনো দল বা রাজনৈতিক নেতাদের এমন কোনো ভূমিকা নেওয়া বা এমন কথা বলা উচিত হবে না, যেটা জাতির মধ্যে বিভক্তি তৈরি করবে। যেটা জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলবে। এমনটা হলে দেশে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে।
আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করে জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক যাত্রা। যেই যাত্রা বিঘ্নিত করার জন্য পতিত স্বৈরাচার, তার দোসর এবং বিদেশি প্রভুরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র করবে। নানাভাবে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করবে। সেই বিষয়ে যেন আমরা সচেতন থাকি।
নুরুল হক: সভাপতি, গণ অধিকার পরিষদ