নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

সোমবার রাজধানীতে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ ও রুপনগর আবাসিক জনকল্যাণ সমিতির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচারের দোসর ও ষড়যন্ত্রকারীরা বসে আছে। তারা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় না। দেশের বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে।

আমিনুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ হবে না। গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন হয় না। এ সরকারের উচিত গণতন্ত্র ও সংস্কারকে চলমান রেখে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। কারণ নির্বাচন ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে না।

তিনি বলেন, আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনামুক্ত হয়েছি কিন্তু পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচারমুক্ত হতে পারিনি। দেশে যেন একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন না হতে পারে এজন্য স্বৈরাচাররা বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। গত দেড় যুগ ধরে এদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে চায়। কিন্তু যড়যন্ত্রকারীরা ও স্বৈরাচারের দোসররা এ অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ঢুকে তাদের নির্বাচন না দেওয়ার জন্য বুদ্ধি ও পরামর্শ দিচ্ছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা চাই এ অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত সময়ের ভেতরে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে এবং সে নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের জনগণ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। জনগণের এ ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে শাহ আলম মোল্লার সভাপতিত্বে ও মো.

সায়েমের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নির্বাহী কমিটি সদস্য মুন্সি বজলুল বাসিত আন্জু, মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, রুপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, রুপনগর থানা ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন, বিএনপি নেতা ফিরোজুল আলম, সাবেক যুবদলের নেতা সমশের আলী জিয়া, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর, সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি খান মুরাদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম, সহ-সভাপতি ফুতুন মিয়া, রুপনগর থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নাঈম হোসেন, রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল আলম টুটুল, ছাত্রদল রুপনগর থানার সাধারণ সম্পাদক কাওসার মল্লিক প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র পনগর থ ন ষড়যন ত র ব এনপ র জনগণ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভূরাজনীতি আওয়ামী লীগকে প্রত্যাবাসন করতে চায়: মাহমুদুর রহমান

এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরেই বলেছিলাম, সম্ভবত প্রথম আলোতে লিখেছিও। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যখন বলেন ‘ইনক্লুসিভ পলিটিকস’–এর অর্থ কী। আমি যেটা বুঝি, দেশকে স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে নিতে হবে। গণতান্ত্রিক পথ মানে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে নয়। অধ্যাপক ইউনূস ব্যক্তিগতভাবে বিপ্লবী নন, আপাদমস্তক একজন গণতান্ত্রিক মানুষ। সে জন্য তিনি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে রেখেছেন সাংবিধানিক প্রতীক হিসেবে। তাঁর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্স এনে তিনি সরকার গঠন করেছেন। তিনি গণতান্ত্রিক পথটা অনুসরণ করতে চান। সে জন্য তিনি (মুহাম্মদ ইউনূস) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ বা কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা তাঁর সরকারের নেই। এই প্রক্রিয়ায় তিনি যদি জিততে পারেন, সেটা বড় ব্যাপার। সেটা তিনি করছেন। কিন্তু পথটা বড় জটিল ও বন্ধুর।

আওয়ামী লীগ আসলে গণতান্ত্রিক দল নয়। তারা নিজেদের রাজনীতির স্বার্থ উদ্ধারের জন্য উগ্র বলপ্রয়োগ ও বিশৃঙ্খলার দিকে যেতে পারে, গত ১৫ আগস্ট এটা বোঝা গেছে। সরকার তাদের (আওয়ামী লীগ) সভা-সমিতি করার অনুমতি দেওয়ার কথা ভেবেছিল, কিন্তু পারেনি। এখনো এই সমস্যাটা আছে আমাদের। আওয়ামী লীগকে এই সুযোগ দিলে তারা দেশে বিশৃঙ্খল রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করবে। কিন্তু আমার ধারণা বলে, ভূরাজনীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি আওয়ামী লীগকে প্রত্যাবাসিত করতে চায়। সরকার সেই চাপের সামনে নিজস্ব কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে সেনানিবাসের বৈঠকে তারই প্রতিফলন দেখা যায়। উদ্বেগের বিষয় হলো, সেনানায়কদের পক্ষ থেকে ছাত্রনেতাদের বলা হয়েছে, তোমরা তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে নির্বাচনে সমঝোতা করো। তার মানে এই, এত দিন ধরে আমরা যে সংস্কারের মাধ্যমে একটি উন্নত নির্বাচনব্যবস্থায় যেতে চাচ্ছি, সেটা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমি এ জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 

আমি মনে করি, অবিলম্বে সরকার এবং আইএসপিআরের (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়া উচিত। হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্র বিনির্মাণের যে সুযোগ আমরা পেয়েছি, তা দেশি-বিদেশি কিছু স্বার্থান্বেষীর যূপকাষ্ঠের বলি হতে পারে না।

মাহমুদুর রহমান মান্না: সভাপতি, নাগরিক ঐক্য

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ’লীগকে গণতান্ত্রিক সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবতে পারি না
  • গণতন্ত্রবিনাশী শক্তির চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান
  • সারজিসের ১০০ গাড়ি নিয়ে ‘শোডাউন’, যা বললেন ফখরুল
  • যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ইলেকশন ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে, সেটা আমরা ভালো বুঝি: মির্জা ফখরুল
  • সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করানোর চেষ্টা হচ্ছে: তারেক রহমান
  • মিয়ানমারকে নিয়ে ট্রাম্প এখন কী করবেন
  • ছাত্রনেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য জাতিকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে: নুরুল হক
  • সেনাবাহিনী পক্ষে ছিল বলেই হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছে: রিজভী
  • ভূরাজনীতি আওয়ামী লীগকে প্রত্যাবাসন করতে চায়: মাহমুদুর রহমান