আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে: নাহিদ ইসলাম
Published: 24th, March 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “সম্প্রতি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র বিভিন্ন দিকে চলছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে। কোনোভাবে ফ্যাসিবাদকে আবার পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে জাতীয় নাগরিক পার্টি তা রুখে দেবে।”
তিনি বলেন, ‘‘গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেশে বাকশাল কায়েম করেছিল। ১৫ বছরের গণহত্যা, গুম এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের পরে তারা কোনোভাবেই আর রাজনৈতিক দল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না। সরকারের কাছে দাবি জানাই, আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করে তাদের নিবন্ধন বাতিল করা হোক।’’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জ জেলার শিক্ষার্থীদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে তিনি শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ঢাকা/অনিক/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আ’লীগকে গণতান্ত্রিক সুবিধা দেওয়ার কথা ভাবতে পারি না
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, একাত্তরে রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। মানুষকে অরক্ষিত রেখে কোনো দিকনির্দেশনা না দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গিয়েছিলেন। চব্বিশেও তারা নেতাকর্মীকে রেখে হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগ কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত না। আওয়ামী লীগকে আর কোনো গণতান্ত্রিক সুবিধা দেওয়ার কথা চিন্তা করতে পারি না।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ সভার আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছু কিছু মানুষ, কিছু কিছু দল বোঝানোর চেষ্টা করছে, ১৯৭১ সালে কোনো ঘটনাই ছিল না। যারা সে সময় হত্যাযজ্ঞে সহযোগিতা করেছে, তারা এখন গলা ফুলিয়ে কথা বলে। আমি কারও নাম বলতে চাই না, তিক্ততাও সৃষ্টি করতে চাই না। ইতিহাস ইতিহাসই। ইতিহাস কেউ বিকৃত করতে
পারবে না।
সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত করতে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হচ্ছে উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনের বিকল্প নেই। কারণ, নির্বাচনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রের পথে যেতে হবে। কিন্তু নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে; যেন এই প্রক্রিয়া (নির্বাচন) পিছিয়ে যায়, বিলম্বিত হয়।
তিনি আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু নতুন নতুন ‘কুতুব’ আবির্ভূত হয়েছে। তারা বাংলাদেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চান, জানি না।
এনসিপি নেতা সারজিস আলমের শোডাউনের ঘটনার ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যারা একশ গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতে যায়, তারা কী করবে– সেটা আমরা ভালো বুঝি। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে, যা আমরা কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না।
দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।