বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে যে সমস্যাগুলো ছিল সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করছি, শিগগিরই খুব সুন্দর একটি যৌক্তিক সমাধান আসবে।

আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ হোটেল লা ভিঞ্চি হোটেলে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।

ইরাবের উদ্দেশ্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা হলেন ঐক্যের প্রতীক। এখানে আমরা ইউজিসির সবাই আছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দসহ সবাই একটি টিম। আমি মনে করি, ইউজিসির যদি কোনো সফলতা থাকে এর কারণ আমরা সবাই একসঙ্গে আছি। আমাদের ভুল ধরিয়ে দেবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। আমরা আপনাদেরই একটি অংশ। আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ডাকে দল-মত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে হতো। এতে প্রত্যেকটি ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই উপস্থিত থাকতেন। এখানেও এমন একটি সহাবস্থানের পরিবেশ দেখছি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড.

খ ম কবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ইউসিজির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম, পরিচালক ড. একে এম শামসুল আরেফিন, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক), প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ। এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. শাহজাহান, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক রিলেশন অ্যাসোসিয়েশনের (পকুরোয়া) সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ।

ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইরাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আপনারাও (সাংবাদিক) দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হবে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ইরাবে যারা সাংবাদিক রয়েছেন, তারা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনাসহ সংবাদ প্রকাশ আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে। সেই জায়গায় তাদের অবদান প্রশংসনীয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে অবস্থায় ছিল সেখানে থেকে আজকের যে উত্তরণ, সেই জায়গায় আসতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিকরা। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো না।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউজ স র ল ইসল ম উপ চ র য অন ষ ঠ ন সহয গ ত হ ম মদ আম দ র ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অহিংসবাদ, সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষবিহীন দেশ, এটাই আমরা গড়ে তুলতে চাই। এদেশ সবার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমান সবার এই দেশ। এই সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বাস করতে চাই।

আজ রোববার সকালে ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত এবং এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা করতে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। সমগ্র দেশের সম্প্রদায় সম্প্রতি রক্ষার জন্য যা কিছু করতে হয়, সেটা করতে সদায় প্রস্তুত থাকবো।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা সবাই মিলে এই দেশ ও জাতিকে একটা শান্তির জায়গা নিয়ে যেতে চাই। গৌতম বুদ্ধের বাণী এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শান্তির দেশ চাই, শৃঙ্খলার দেশ চাই। আমরা এখানে হানাহানি, বিদ্বেষ চাই না। সবার সমস্ত বিভিন্ন মত থাকতে পারে। অবশেষে আমরা সবাই সবাইকে যেন শ্রদ্ধা করি। একে অপরের বক্তব্য, মতামতকে যেন শ্রদ্ধা করি। আমাদের নিজস্ব মতামত থাকবে সেই অনুযায়ী কাজ করব।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, অহিংসবাদ সম্প্রীতি, মানুষের প্রতি ভালোবাসা, হিংসা-বিদ্বেষ বিহীন দেশ আমরা গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই একসঙ্গে এখানে সুন্দরভাবে বসবাস করব। এই উদ্দেশ্যেই আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।

সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, আমরা সবসময় এ দেশের ধর্ম, বর্ণ, গোত্র সব সম্প্রদায়ের সঙ্গে অত্যন্ত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা একসঙ্গে বাস করি। বাংলাদেশ একটা সম্প্রীতির দেশ। এদেশে হাজার হাজার বছর ধরে সব ধর্ম-বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আমরা শান্তিতে বসবাস করে আসছি। সেটারই একটা প্রতিফলন আজকের এই অনুষ্ঠান। এটা শুধু সম্প্রীতি ভবন ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠান নয়, এখানে আমরা একটা সম্প্রীতির সমাবেশ করেছি। যেখানে সব ধর্ম-বর্ণ গোত্রের লোকজন আছে। আমরা আমাদের দেশটাকে এভাবেই দেখতে চাই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গরমে স্বস্তির পানীয়
  • লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
  • আংটি পরে জর্জিনা লিখলেন ‘আমিন’, তবে কি বিয়ে করছেন রোনালদো
  • বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ‘প্রয়োজনীয়’ ছিল: সাক্ষাৎকারে মেলিন্ডা
  • একসঙ্গে উঠলেন নাগরদোলায়, হঠাৎ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা   
  • বন্ধুদের সঙ্গে মিরিঞ্জা ভ্যালি যাচ্ছিলেন, জিপ থেকে ছিটকে পড়ে তরুণের মৃত্যু
  • হিংসা-বিদ্বেষহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • হিংসা-বিদ্বেষবিহীন সম্প্রীতির দেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান
  • ঘোষণা দিয়ে বন্ধ ক্যাম্পাসে ঢুকছেন কুয়েটের শিক্ষার্থীরা
  • পাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে মারামারি, রাজনীতি এবং রক্ত দিয়ে লেখা প্রেমপত্র