‘কন্যা’র পর নুসরাত ফারিয়া-সজলের ‘ব্যবধান’
Published: 24th, March 2025 GMT
উৎসব মানেই নিত্যনতুন ছবি, তার সঙ্গে মন মাতানো কিছু গান। আসছে ঈদেও ব্যতিক্রম ঘটল না। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ছবিগুলোর গান আসছে একে একে। ইতোমধ্যে ঝড় তুলেছে নুসরাত ফারিয়ার ‘জ্বীন ৩’ ছবির গান ‘কন্যা’। যেখানে অভিনেতা সজলের সঙ্গে নায়িকার নাচের ঝলকানি মন কেড়েছে সবার। এ গানটির রেশ কাটতে না কাটতেই আজ প্রকাশিত ‘জ্বীন ৩’-এর দ্বিতীয় গান ‘ব্যবধান’।
আজ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে গানটি প্রকাশ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন অভিনয়শিল্পী নুসরাত ফারিয়া, সজল, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্নধর আবদুল আজিজ, নির্মাতা কামরুজ্জামান রোমানসহ আরও অনেকে।
আবদুল আজিজের লেখায় গানটি গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী খেয়া। মিউজিক করেছেন ওয়াহিদ শাহীন। রোমান্টিক ঘরানার এ গানটিও ফারিয়াকে বেশ মিষ্টিরূপেই হাজির করা হয়েছে।
ফারিয়া বলেন, ‘কন্যারে গানের তো দারুণ রেসপন্স পেয়েছি। সেটি বড় আয়োজনের উৎসবের গান ছিল। ব্যবধান হচ্ছে রোমান্টিক গান। এই গানটিও দর্শকশ্রোতার ভালো লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।’
২০২৩ সালের রোজার ঈদে মুক্তি পেয়েছিল জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমা ‘জ্বীন’। নাদের চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটি দর্শকের মাঝে বেশ কৌতূহল তৈরি করেছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গত বছর মুক্তি পেয়েছিল ‘মোনা: জ্বীন ২’। এটি পরিচালনায় ছিলেন কামরুজ্জামান রোমান।
জাজ জানিয়েছে, ঢাকার সিনেপ্লেক্সে ভালো ব্যবসা করেছিল ভৌতিক ঘরানার সিনেমাটি। এবার আসছে ‘জ্বীন ৩’। এই সিনেমা দিয়ে সাত বছর পর জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিনেমায় দেখা যাবে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সজল
এছাড়াও পড়ুন:
নাম বদলাতে পারে মঙ্গল শোভাযাত্রার
বাংলা নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলাতে পারে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নতুন নামের বিষয়ে আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। সব জাতিসত্তার অংশগ্রহণে এবারের শোভাযাত্রায় নতুন রং, গন্ধ ও সুর পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে জাতীয়ভাবে বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে সভা শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, এবার চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হবে, এতে সত্যিকার অর্থেই নতুন জিনিস দেখা যাবে। এই শোভাযাত্রা হবে বাঙালি, চাকমা, মারমা, গারো– প্রত্যেকের। এ জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম বদলাতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি প্রথমে আনন্দ শোভাযাত্রা নামে শুরু হয়েছিল। পরে হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠকে সবাই যদি একমত হয়, তবে আবার নাম পরিবর্তন হতে পারে। এবারের শোভাযাত্রাটি আর বাঙালিদের শোভাযাত্রা না। কেন্দ্রীয়ভাবে এটিকে ডাকা হবে, যে নামে সবাইকে একটা ছাতার মধ্যে আনা যায়।
মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইউনেস্কো আগামীবার জানবে এ শোভাযাত্রা আরও বড় হয়েছে, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। ইউনেস্কোর এটাতে খুশি হওয়ার কারণ হবে, আপত্তি করার কোনো কারণ নেই। আমরা বরং এতদিন অনেকগুলো জাতি-গোষ্ঠীকে মাইনাস করে এসেছিলাম। এটাকে সংশোধন করছি।’ অনুষ্ঠানটি পুনর্বিবেচিত হয়েছে, তাই এর নামটিও পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন আয়োজন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে রক কনসার্ট হচ্ছে। যেখানে চাকমা, গারো, মারমা ও বাংলা ব্যান্ড– সবাই পারফর্ম করবে। এ ছাড়া চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে বাউল ও ফকিররা গান গাইবেন। ওদের একটা উৎসব হবে সেখানে। ১৪ এপ্রিল সংসদ ভবনের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ড্রোন শোর আয়োজন করা হবে। চীনের দূতাবাসের সহযোগিতায় ড্রোন শো হবে। বিকেলে গান শুনবেন, সন্ধ্যার পর দেখবেন সংসদ ভবনের ওপর বাংলার আকাশের ড্রোন দিয়ে কিছু ইমেজ তৈরি করা হচ্ছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এবার ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় সুরের ধারার গানের অনুষ্ঠান হবে। মেলার মতো আয়োজনও সেখানে করা হবে। ঢাকার নানান জায়গায় উৎসব ছড়িয়ে যাবে। সূর্যাস্তের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে– এবার আমাদের নির্দেশনা এটা না। কোন অনুষ্ঠান কখন শেষ হবে, সেটা স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা ঠিক করে নেবে।’ তিনি জানান, এবার প্রতিটি জেলা ও উপজেলার জন্য বরাদ্দ দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি যে জেলাগুলোতে ভিন্ন ভাষাভাষী লোকজন আছেন, সেগুলোতে বরাদ্দ আরও বেশি হবে।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, নববর্ষের আয়োজন নিয়ে কাল (আজ) বৈঠক হবে। নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কিছুটা সময় লাগবে। ঈদের ছুটি শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।