বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন চেয়ারম্যান জকরিয়া, মহাসচিব মোজাম্মেল হক
Published: 24th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ জকরিয়া। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে মোহাম্মদ রুহুল আমিন ও মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। ১১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটির মেয়াদ ২০২৫-২০২৭ সাল। আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সংগঠনের সাধারণ পরিষদের ৩০তম সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির নতুন কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি গঠিত হয়েছে। দেশের যাত্রী অধিকার ও সড়ক নিরাপত্তায় কাজ করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
নতুন কমিটি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জকরিয়া বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব। ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রুহুল আমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক। মহাসচিব মো.
সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহমদ। যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা তাওহিদুল হক।
কমিটির অন্যরা হলেন অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, দপ্তর সম্পাদক শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ রিজু আকতার চৌধুরী। নতুন কমিটির সদস্যরা হলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আরিফ, অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, ইয়াসমিন আকতার সীমা।
সভায় বলা হয়, বিগত সরকারের সময়ে দেশের বিশৃঙ্খল সড়কব্যবস্থা, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বৃদ্ধি, সড়কে অব্যবস্থাপনা এবং সড়কের বিভিন্ন প্রকল্পে বেপরোয়া দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাই সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছিলেন তৎকালীন সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ কারণে দীর্ঘদিন নতুন কমিটি করা যায়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে যাত্রী কল্যাণ সমিতির নিবন্ধন ফেরত পাওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সভায় সড়ক পরিবহন আইন, নৌ আইন এবং রেল আইন সংশোধন করে যাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত, যাত্রীদের জন্য গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণসহ কিছু দাবি জানিয়েছে সমিতি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ব চ ত হয় ছ ন ম হ ম মদ কম ট র নত ন ক
এছাড়াও পড়ুন:
নাগরদোলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অভিযুক্ত স্বামী আ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় লাকী বেগম (২০) নামে একজন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নাগরদোলায় উঠিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাফেজ মহিউদ্দিনের ওরসের মেলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত লাকী বেগম একই উপজেলার কালাপোল এলাকার বেদে পল্লীর মনসুর আলীর মেয়ে। আটক স্বামী মো. সাকিব সদর উপজেলার মান্নান নগর বেদে পল্লী পাড়ার মো. মঙ্গলের ছেলে।
নিহত লাকীর মা শেফালী বেগম জানান, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে জেলার সদর উপজেলার মান্নান নগরের বেদে পাড়ার মঙ্গলের ছেলে সাকিবের সাথে লাকীর বিয়ে হয়। লাকী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত পনের দিন আগে সে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসে। রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব তার স্ত্রীকে মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে নিজের ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন ভেঙে ফেলে এবং নিজের মাথা নিজেই ফাঁটিয়ে ফেলে।
সোমবার সন্ধ্যার পরে লাকীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিন হাফেজের ওরসের মেলায় ঘুরতে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রী এক সাথে নাগরদোলায় উঠে।
শেফালী বেগমের অভিযোগ, নাগরদোলায় চড়াকালীন সাকিব তার মেয়ে লাকীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় লাকীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাকীর বাবা মনসুর আলী বলেন, “সাকিব মাদকাসক্ত ছিলো। কথায় কথায় লাকীকে নির্যাতন করতো। আমাদের ঘরে এসেও মেরেছে। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান বলেন, “অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/সুজন/টিপু