কিস্তির টাকা পরিশোধের কথা বলে ফোন করে ডেকে নিয়ে এনজিওকর্মীকে মারধর করা হয়েছে। ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা বাসস্ট্যান্ডে শফিকুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনাটি ঘটে। তিনি সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের খোকসা ব্রাঞ্চের ক্রেডিট অফিসার। অভিযুক্ত মিথুন আলী বেতবাড়িয়া গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে।  

জানা গেছে, সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নেন বেতবাড়ি গ্রামের মিথুন আলী; যা ১২ কিস্তিতে পরিশোধের কথা ছিল। ওই ব্যক্তি পাঁচ কিস্তির টাকা দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। সোমবার দুপুরে গ্রাহক মিথুন তাঁর ঋণের কিস্তি পরিশোধের কথা বলে ক্রেডিট অফিসার শফিকুল ইসলামকে ফোন করে বাসস্ট্যান্ডে ডেকে নেন। জনসমক্ষে দু’জনের মধ্যে কথা চলাকালে মিথুন ও তাঁর এক সঙ্গী মিলে শফিকুলকে মারধর করেন। স্থানায়ীরা আহত শফিকুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখানে ভর্তি রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারী মিথুনকে আটক করে জনতা। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

আহত শফিকুল বলেন, ‘প্রতি মাসেই গ্রাহক মিথুন কিস্তি মিস করেন। এ মাসে ১০ তারিখে তাঁর কিস্তি ছিল। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে মিথুন ফোন করে কিস্তি নেওয়ার জন্য আমাকে ডাকেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই হামলা করেন। অন্য হামলাকারী আমার পকেটে থাকা ২২ হাজার ৫০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।’

প্রতিষ্ঠানটির এরিয়া ম্যানেজার তানভীর ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই তাদের শাখা ব্যবস্থাপক কবিরুল ইসলাম থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয়রা হামলাকারী মিথুনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মাঈনুল ইসলাম বলেন, জনতা হামলাকারী মিথুনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এনজিওর লোক থানায় অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর ঋণ ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

মানবিক বিবেচনায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সেই ১৩ শিক্ষার্থীর

কক্সবাজারের উখিয়া হলদিয়াপালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৩ শিক্ষার্থীকে মানবিক বিবেচনায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ওই ১৩ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যদিও তারা প্রথম পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। কারণ, তারা পরীক্ষা শুরুর মাত্র ৩০ মিনিট আগে বিষয়টি জানায়। এরপরও মানবিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড প্রবেশপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

ইউএনও জানান, বিদ্যালয়ের একটি অভ্যন্তরীণ সিন্ডিকেটের কারণে শিক্ষার্থীরা সময়মতো প্রবেশপত্র পায়নি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) থেকে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।

উল্লেখ্য, প্রবেশপত্র না পাওয়ায় গত শনিবার চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন ১৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় পরীক্ষার দিন সকালে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আটক করে।

ঢাকা/তারেকুর/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ