২০২৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোরে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। হাই ভোল্টেজ এ ম্যাচে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র একাদশে ছয়টি পরিবর্তন এনেছেন জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম গ্লোবো।

চলতি মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। গত শুক্রবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচে যে একাদশ নিয়ে খেলেছে ব্রাজিল, সেই দলের ছয়জন থাকছেন না আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রথম একাদশে, এমন খবরই জানিয়েছে গ্লোবো।

আরও পড়ুনবাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ এখন যেন হামজা-ছেত্রী লড়াই১ ঘণ্টা আগে

কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের গোলপোস্টে ছিলেন আলিসন বেকার, বাঁ পাশের সেন্টার ব্যাক পজিশনে গ্যাব্রিয়েল মাগালাইস, সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে ব্রুনো গিমারেস এবং গারসন। কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাথায় চোট পেয়ে ব্রাজিল দল থেকে ছিটকে গেছেন আলিসন। একই ম্যাচে বাছাইপর্বে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় নিষেধাজ্ঞায় পড়েন গ্যাব্রিয়েল ও ব্রুনো এবং বাঁ ঊরুতে চোট পান গারসন। এই চার খেলোয়াড়ের বদলি হিসেবে গত পরশু স্কোয়াডে গোলকিপার ওয়েভরতন, ডিফেন্ডার বেরালদো, মিডফিল্ডার হোয়াও গোমেজ ও এদেরসনকে ডাকেন দরিভাল।

ব্রাজিল দলের কোচ দরিভাল জুনিয়র.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ