জবির ‘বি’ ইউনিটে প্রথম নুবাহ সিদ্দিকা
Published: 24th, March 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ইউনিটে (কলা অনুষদ) সর্বোচ্চ নম্বর ৯২ পেয়ে প্রথম হয়েছেন নুবাহ সিদ্দিকা নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বি ইউনিটে তৃতীয় শিফটে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। সব শিফটের মধ্যে তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন। তার স্বপ্ন একজন বিচারপতি হওয়া।
সোমবার মুঠোফোনে সমকালকে তার সাফল্য ও স্বপ্নের কথা জানান নুবাহ সিদ্দিকা। এর আগে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ও পেইজে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নুবাহ ভর্তি পরীক্ষায় বহুনির্বাচনিতে ২৩, লিখিত ৪১ ও এসএসসি এইচএসসি রেজাল্ট ভিত্তিতে ২৮ নম্বর পেয়ে অন্য সবার থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নুবাহ বলেন, আমি আইন বিভাগে পড়াশোনা করতে চাই। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি শেষ করে পরবর্তীতে বিচারপতি হতে চাই। বাবা মায়ের অনুপ্রেরণাতেই তার এই সাফল্য বলে জানান নুবাহ।
নুবাহ জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাবিতে চান্স পেয়েছেন তিনি। ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ৫ম স্থান অধিকার করেছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হবার ইচ্ছা জানান তিনি। তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার গৌরিপুরে।
নুবাহ সমকালকে বলেন, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। বাবা আশিকুল ইসলাম ও মা খাইরুন্নেছা বেগমের বড় সন্তান তিনি।
প্রসঙ্গত, বি ইউনিটের তিন শিফটে মোট আসন সংখ্যা ৭৮৫টি। প্রথম শিফটে মোট আসন ২৯৪টি, যার মধ্যে মানবিক ২১৬টি, বাণিজ্য ৩৭টি, বিজ্ঞান ৪১টি। দ্বিতীয় শিফটে মোট আসন ২৯২টি, যার মধ্যে মানবিক ২১৮টি, বাণিজ্য ৩৫টি ও বিজ্ঞান ৩৯টি আসন। তৃতীয় শিফটে মোট আসন ১৯৯টি, যার মধ্যে মানবিক ১২৪টি, বাণিজ্য ১০টি ও বিজ্ঞান ৬৫টি আসন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কলা ও আইন অনুষদ ‘বি’ ইউনিট এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৭৮৫ আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় বসেন ৪২ হাজার ৯৭৪ জন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় ম ট আসন ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের পরদিন শিশুর মুখ ঝলসানো লাশ উদ্ধার
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে নিখোঁজের এক দিন পর ৭ বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটির মুখ ঝলসানো ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়ির পাশের এক ভুট্টাখেত থেকে পুলিশ বিবস্ত্র লাশটি উদ্ধার করে।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণ করে পরিচয় গোপন রাখার জন্য তার মুখাবয়ব অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত। তার বাবা প্রবাসী।
বড়াইগ্রাম থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সারা রাত খোঁজার পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ সকালে দিনমজুরেরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাড়ির থেকে ৩০০ গজ দূরের একটি ভুট্টাখেতে শিশুটির মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে স্বজনেরা সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ যেখানে পাওয়া গেছে, সেটা পাবনার চাটমোহর উপজেলার মধ্যে। তাই আইন অনুসারে এ বিষয়ে মামলা চাটমোহর থানায় হবে। তবে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও বিচারের আওতায় আনতে বড়াইগ্রাম থানা–পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। ইতিমধ্যে দুর্বৃত্তদের অনুসন্ধানে পুলিশ মাঠে নেমেছে। হত্যার কারণ বা শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।