জিয়া পরিবারের অপেক্ষায় বাংলাদেশ: জয়নুল আবেদীন
Published: 24th, March 2025 GMT
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেছেন, “সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দেন। বাংলাদেশ জিয়া পরিবারের জন্য অপেক্ষা করছে। কখন খালেদা জিয়া দেশে আসবেন, কখন তারেক রহমান বাংলাদেশ ফিরে আসবেন। তারেক রহমান এসে দেশের দায়িত্বভার বুঝে নিবেন।”
সোমবার (২৪ মার্চ) ঢাকা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত ইফতার, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জয়নুল আবেদীন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। আল্লাহর রহমতে নির্বাচনে জয়লাভ করে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিচারকদের ওপর কোন চাপ প্রয়োগ করবে না।”
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরে শ্রমিক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
আগামী ১০ বছর জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে: নূর
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “দেশের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। যে দেশের বিচার ব্যবস্থা যত শক্তিশালী, সেই দেশের গণতন্ত্র তত শক্তিশালী। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে তারেক রহমানের মামলার বিচার মোমবাতি জ্বালিয়ে হয়েছে। বিচারের নামে প্রহসন হয়েছিল। আমরা দিনের বিচার রাতে দেখতে চাই না।”
তিনি বলেন, “বিচার বিভাগের মেরুদণ্ড শুধুমাত্র সোজায় নয়, শক্তিশালী হিসেবে দেখতে চাই। যখন বিচার বিভাগ নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করবে তখন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ দেখতে চাই।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভেকেট মো.
এছাড়া ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাভডোকেট সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিভিন্ন আদালতের বিচারক, আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/মামুন/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন দুই বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নবনিযুক্ত দুই বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দুই বিচারপতিকে শপথবাক্য পড়ান।
দুই বিচারপতি হলেন—বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এই দুই বিচারপতির শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল সাত।
শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তারা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। গতকাল সোমবার এই নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগ শপথগ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। ফলে আজ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই বিচারপতির নিয়োগ কার্যকর হলো।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান১৯৬৯ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব১৯৬৬ সালের ২৭ মে জন্মগ্রহণ করেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৯২ সালে তিনি জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এক বছর পর ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে স্থায়ী হন তিনি। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব চতুর্থ নারী বিচারপতি, যিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেলেন।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল ও নিয়োগসুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান প্রক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ অনুসারে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে সুপারিশের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল নামে একটি স্থায়ী কাউন্সিল থাকবে বলা হয়। আর কাউন্সিলের চেয়ারপারসন হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতি। অধ্যাদেশ অনুসারে নির্ধারিতসংখ্যক সদস্যের সমন্বয়ে কাউন্সিল গঠিত হয় ও কাউন্সিলের সভা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে গতকাল জানানো হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দুই বিচারপতিকে (বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব) আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়েছেন।