সাবেক চিফ হুইপ নূর–ই–আলম ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
Published: 24th, March 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী জিনাত পারভীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫৭ কোটি ৪৯ লাখ ৭ হাজার ৭৯৮ টাকার সম্পদ অর্জন করার অভিযোগে নূর-ই-আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর ৮টি ব্যাংক হিসাবে ২৩২ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার ২৪০ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
দুদকের মহাপরিচালক বলেন, নূর-ই-আলম চৌধুরীর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী জিনাত পারভীনের চৌধুরীর বিরুদ্ধেও ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার ৩০৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ই আলম
এছাড়াও পড়ুন:
জনশক্তি রপ্তানিকারক নুরুল আমিনের ৮ বছর কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে এভিয়েট ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের প্রোপাইটর নুরুল আমিনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন মঙ্গলবার এ রায় দেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁকে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তথ্য গোপনের অভিযোগে তাঁকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাঁকে আরও তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৯৩ লাখ ২২ হাজার ১৭ টাকার সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে। এ জন্য তাঁকে সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছরের কারাভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী শফিকুল ইসলাম। জনশক্তি রপ্তানিকারক নুরুল আমিন রায় ঘোষণার আগে আদালতে হাজির হন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১১ সালের ৭ আগস্ট রমনা মডেল থানায় মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক আবদুল আজিজ ভূঁইয়া। মামলাটি তদন্ত করে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন আবদুল আজিজ। ২০২১ সালের ৫ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ১৫ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।