হার্টে রিং পরাতে কতক্ষণ লাগে

হার্ট অ্যাটাক হলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। অ্যানজিওগ্রাম করিয়ে রোগীর আক্রান্ত রক্তনালিতে রিং পরিয়ে দেওয়ার (স্টেন্টিং) প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে আদতে খুব একটা সময় লাগে না, যদি রোগীর জটিলতা অনেক বেশি না হয়। আন্তর্জাতিকভাবে এটিই হার্ট অ্যাটাকের আদর্শ চিকিৎসাপদ্ধতি। তবে আমাদের দেশে অনেক রোগীকেই হাসপাতালে নিয়ে আসতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সব হাসপাতাল বা ক্লিনিকে অ্যানজিওগ্রাম এবং স্টেন্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকে না।

আরও পড়ুনহার্ট সুস্থ রাখতে কী খাবেন২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরীর কৃতিত্ব

তামিম ইকবালকে অ্যাম্বুলেন্সে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মোহামেডানের ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরী তাঁর বুকে পাঞ্চ করছিলেন বলে জানা গেছে। জরুরি মুহূর্তে এই কাজটিই রোগীর জীবন বাঁচায়। হঠাৎ করে কেউ কোনো সাড়া না দিলে দ্রুততম সময়ে কার্ডিও–পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) শুরু করতে হয়। বুকে পাঞ্চ করা এই প্রক্রিয়ারই অংশ। হৃৎপিণ্ড নিঃসাড় হয়ে গেলে সিপিআরের মাধ্যমে তা আবার সক্রিয় করার সম্ভাবনা থাকে। সফল সিপিআরে এভাবেই রোগীর জীবন বেঁচে যায়। ট্রেইনার ইয়াকুব চৌধুরী সময়মতো সঠিক কাজটিই করেছিলেন।

চিকিৎসকেরা যা করেছেন

সাভারের নবীনগরের কেপিজে হাসপাতালে নেওয়ার পর তামিম ইকবালকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে অ্যানজিওগ্রাম ও স্টেন্টিংয়ের ব্যবস্থা ছিল। দ্রুততম সময়ে হৃৎরোগবিশেষজ্ঞ মনিরুজ্জামান মারুফ সেখানকার প্রশিক্ষিত দল নিয়ে অ্যানজিওগ্রাম, অ্যানজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্টিং সম্পন্ন করতে পেরেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনবয়স ত্রিশের পর গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ০৭ আগস্ট ২০২৪সিপিআর জেনে রাখা জরুরি কেন

জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবালের এই ঘটনা থেকে আবারও এই সত্য সামনে চলে এল, জীবন বাঁচাতে সিপিআর শিখে রাখা উচিত সবারই। এর জন্য কিন্তু মেডিকেল পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন নেই। এই প্রশিক্ষণ নিতে পারেন যে কেউ। তাতে নিজের আপনজনসহ চেনা–অচেনা বহু মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।

আর হার্ট অ্যাটাকের যেকোনো উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে নিশ্চিত হলে চিকিৎসক দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য দূরে কোথাও রওনা হওয়ার চেয়ে নিকটস্থ যে হাসপাতালে অ্যানজিওগ্রাম ও স্টেন্টিংয়ের ব্যবস্থা আছে, সেখানে চিকিৎসা নেওয়াই ভালো সিদ্ধান্ত। তাতে মূল্যবান সময় বেঁচে যায়। বাঁচে অমূল্য প্রাণ।

আরও পড়ুনহার্ট অ্যাটাকের ৬টি লক্ষণ এবং হার্ট অ‍্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন৫ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল র ব যবস থ স প আর জ বন ব

এছাড়াও পড়ুন:

নেইমারের সান্তোসে ফেরার পথে মেসির পুরনো কোচ

জানুয়ারিতে মহাআয়োজন করে সান্তোস ফিরিয়ে এনেছিল তাদের এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়রকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ব্রাজিলায়ান ক্লাবটি ফেরাতে পারে সাবেক কোচ হর্হে সাম্পাওলিকে। এই ৬৫ বছর বয়সী কোচও গত দেড় দশকে সান্তোসের সবচেয়ে সফল কোচ ম্যাচ জয়ের হিসেবে।

সান্তোস সম্প্রতি পর্তুগিজ কোচ পেদ্রো কাইসিনহাকে বরখাস্ত করেছে। এরপরই সাম্পাওলিকে ফেরানোর আলোচনা শুরু হয়েছে। আগের ধাপে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদকালে অসাধারণ সাফল্যের কারণে এই চিলিয়ান কোচের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন ভক্তদের মধ্যে রোমাঞ্চের সৃষ্টি করেছে।

নেইমার এখন সান্তোসে। ফলে সাম্পাওলি ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতে ফিরলে, আবারও সুযোগ পাবেন শীর্ষ মানের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করার। এর আগে এই চিলিয়ান কোচ লিওনেল মেসির সঙ্গে কাজ করেছিলেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন। তাঁর অধীনেই ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ খেলে আলবিসেলেস্তারা।

আরো পড়ুন:

বার্সেলোনা নয়, মেসি থাকছেন মায়ামিতেই

মেসি ম্যাজিকে সেমিফাইনালে মায়ামি

সান্তোসের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তেইশেইরার নেতৃত্বে যখন নতুন কোচের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তখনই সাম্পাওলির নাম উঠে আসে। তিতে ও ডোরিভাল জুনিয়রের মতো কয়েকজন অভিজ্ঞ ও সুনামধন্য কোচকে প্রস্তাব দিলেও তারা রাজি হননি। অন্যদিকে ক্লাবটির বোর্ডের একটি অংশ সাম্পাওলির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। এই ৬৫ বছর বয়সী কোচ স্কোয়াডে বড় বিনিয়োগের ব্যাপারে বলেছেন। এছাড়াও তার কঠিন কোচিং করানোর কৌশলের জন্যও কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। তবুও, প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি শীর্ষ পছন্দ হিসেবে রয়েছেন।

সাম্পাওলি ফ্রেঞ্চ ক্লাব রেঁনেতে ও দ্বিতীয় ধাপে সেভিয়াতে ব্যর্থতার পর ২০২৩ সালে ফ্ল্যামেঙ্গোতে চলে আসেন নতুন কোচিং দায়িত্ব নিয়ে। এছাড়াও তিনি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব অ্যাটলেটিকো মিনেইরোকেও কোচিং করিয়েছেন।

সান্তোসের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলেছিলেন সাম্পাওলি বলেন, “সান্তোস এবং সান্তিসতা জাতি, যারা আমাকে এত ভালোবাসার সাথে স্বাগত জানিয়েছে, তাদের প্রতি আমি কেবল জন্মদিনের শুভেচ্ছাই জানাই না, বরং একই সাথে বিশ্ব ফুটবলের এই বিশাল জায়গাটির জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ পুনর্গঠনও আশা করি। যাতে এটি আবারও তার প্রাপ্য আনন্দ উপভোগ করতে পারে, যার সাথে তারা সর্বদা অভ্যস্ত।”

ব্রাজিলের ক্লাবগুলোতে আর্জেন্টাইন কোচদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে লুইস সুবেলদিয়া (সাও পাওলো), হুয়ান পাবলো ভয়ভোদা (ফর্টালেজা), র‍্যামন দিয়াজ (করিন্থিয়ান্স) এবং গুস্তাভো কিনতেরোস (গ্রেমিও) দলের দায়িত্বে আছেন।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ