পিরোজপুরের নেছারাবাদে হাসপাতালে এক গৃহবধূর লাশ ফেলে তাঁর স্বামী পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ওই গৃহবধূর নাম বীথি আক্তার (১৮)। তিনি উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ছারছিনা গ্রামের ফাহিম হোসেনের স্ত্রী। বীথির বাবার বাড়ি উপজেলার কৃষ্ণকাটি গ্রামে; বাবার নাম মিজানুর রহমান।

মিজানুর রহমান বলেন, ‘ছয় মাস আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার মেয়েকে (বীথি) উঠিয়ে নিয়ে যায় ফাহিম। সে বেকার, বিয়ের পর থেকে যৌতুক দাবি করে আসছিল। যৌতুক না পেয়ে প্রায়ই আমার মেয়েকে মারধর করত। রোববার মেয়েকে মারধর করে তার পরিবার বলেছে, “আপনার মেয়েকে নিয়ে যান।” পরে রাত ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলে আপনার মেয়ে মারা গেছেন। দেখি ওখানে কেউ নেই, শুধু মেয়ের লাশ পড়ে আছে হাসপাতালে (স্বরূপকাঠি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স)। ওরা আমার মেয়েকে হত্যা করে লাশ রেখে পালিয়ে গেছে।’

স্বরূপকাঠি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.

আসাদুজ্জামান জানান, বীথি আক্তার নামের মেয়েটি হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফাহিম হোসেন ও তাঁর বাবা সোহাগ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনি আমিন বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে বীথির লাশ থানায় আনা হয়েছে। মেয়েটির পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। মামলা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ