তামিমের মোহামেডানের জয়ের নায়ক মিরাজ
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে পেয়েছিলেন তামিম। এরপর হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যেতে হয় মোহামেডান অধিনায়ককে। অধিনায়ক ছাড়াই ফিল্ডিং করে শাইনপুকুরকে ২২৩ রানে অলআউট করে মোহামেডান। ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজের সেঞ্চুরিতে ভর করে রানটা ৪৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় মোহামেডান। অষ্টম ম্যাচে মোহামেডানের এটি ষষ্ঠ জয়। দলটি আছে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
রনি তালুকদারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতেই ১৬৪ রান যোগ করেন মিরাজ। এই রানের ১০৩-ই করেছেন মিরাজ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি, ঢাকা লিগে প্রথম। ৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১০৩ রান করা মিরাজই আউট হয়েছেন সবার আগে। রনি ফেরেন দলকে ১৭৪ রানে রেখে ব্যক্তিগত ৬১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাহিদুল, সাইফউদ্দিন ও নাসুমরা বাকি কাজটা সারেন।
এর আগে ১০৭ রানেই শাইনপুকুরের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিল মোহামেডান। এরপর শরীফুল ইসলামকে (৫৭) নিয়ে শাইনপুকুর অধিনায়ক রাইয়ান রাফসান (৭৭) ৭৭ রানের জুটি গড়েন। মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ৪৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
পারভেজের সেঞ্চুরি, আবাহনীর সপ্তম জয়মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব করে ৯ উইকেটে ২০১ রান। রানটা ১০.
এর আগে ধানমন্ডির হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন ফজলে রাব্বি। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান ৫৭ রান করেছেন। আবাহনী ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ৪৫ রানে নেন ৪ উইকেট।
সাব্বির-ইরফানের সেঞ্চুরি, প্রাইম ব্যাংকের পঞ্চম জয়ওপেনার সাব্বির হোসেন (১২১ বলে ১০২) ও অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের (৯৪ বলে অপরাজিত ১০৭) সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২১ রান করে প্রাইম ব্যাংক। ইনিংসের শেষ দিকে ৩৩ বলে ৪৮ রান করেন শাহাদাত হোসেন।
রান তাড়ায় অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১১৫ বলে ১১৬) সেঞ্চুরি পেলেও ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে ৩৪ রানে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংক। প্রাইম ব্যাংকের দুই স্পিনার রিশাদ হোসেন ও আরাফাত সানি নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যক্তিগত ছবি ফাঁসের হুমকি, ভীত-সন্ত্রস্ত ইরানি এই অভিনেত্রী
বলিউড অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে উদ্বিগ্নতার মাঝে দিনযাপন করছেন এই ইরানি তারকা। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এলনাজ নরৌজি বলেন, “গত ১৮ জানুয়ারি অপরিচিত একজনের একটা ই-মেইল পাই। সাধারণত সব ই-মেইলে খুলি না। কিন্তু এই ই-মেইলে আমার পাসওয়ার্ড লেখা ছিল, যা দেখে এটি ওপেন করি।”
পরের ঘটনা বর্ণনা করে এলনাজ বলেন, “ই-মেইলে বার্তাসহ আমি আমার ব্যক্তিগত একটি ছবি পাই। তাতে লেখা— ‘আমার কাছে আপনার ছবি আছে। অনলাইনে এগুলো ছড়িয়ে পড়ুক, এটা যদি না চান তবে যতটা দ্রুত সম্ভব উত্তর দিন। আর যদি জবাব না দেন, পরবর্তী ই-মেইলে আপনার ছড়িয়ে পড়া ছবির লিংক যুক্ত থাকবে।”
এ হুমকি পাওয়ার পর দ্রুত সাইবার ক্রাইম সেলে যোগাযোগ করেন এলনাজ। সংশ্লিষ্টরা তদন্ত করে জানতে পারেন, সুইজারল্যান্ডের একটি সার্ভার থেকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তকারী দল ই-মেইল পাঠানো ব্যক্তির বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানতে পারেননি। এরপর থেকে ভয়ে দিন কাটছে এলনাজের।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা এলনাজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানতে চান, অপরিচিত কোনো লিঙ্কে ক্লিক করেছিলেন কিনা? জবাবে এই অভিনেত্রী জানান, অনলাইনে অপরিচিত একটি ফরম পূরণ করেছিলন। এরপর সাইবার ক্রাইম টিম অভিনেত্রীর বাসা পরিদর্শন করেন এবং তার ডেটা ব্যাকআপ তৈরি করেন এবং তার সমস্ত পাসওয়ার্ড আপডেট করেন, যা এখন প্রতি মাসে পরিবর্তন করেন তিনি।
ভীত হয়ে পড়েছেন এলনাজ। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভীষণ ভীত। কারণ ওই অপরাধী যদি আমার ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে পোস্ট করে। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে ঘুমাতে যাই, আবার একইভাবে ঘুম থেকে উঠি। নিজেকে স্থির করার জন্য কয়েকবার থেরাপিস্টের কাছেও গিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। মনে হচ্ছে, কেউ আমাকে সর্বদা দেখছে। আমি ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে বসবাস করছি।”
১৯৯৬ সালের ৯ জুলাই ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন এলনাজ। তার জন্মের কিছুদিন পরই জার্মানিতে পাড়ি দেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। এলনাজ জার্মানির নাগরিক। ১৪ বছর বয়সে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ভারতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলনাজ। ২০১৭ সালে উর্দু ভাষার ‘মা জোনা’ সিনেমার মাধ্যমে পাকিস্তানি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। ‘সেকরেড গেমস’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু করেন এলনাজ।