পল্টনে রান্নার সময় চুলার আগুনে দগ্ধ মা ও মেয়ে
Published: 24th, March 2025 GMT
রাজধানীর পল্টন কালভার্ট রোডের একটি বাসায় রান্না করার সময় চুলার ওপর পড়ে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়েছেন এক নারী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার মেয়েও দগ্ধ হয়েছেন।
দগ্ধরা হলেন-মা হোসনে আরা (৬৩) ও তার মেয়ে তাসলিমা সুলতানা (৩৪)। সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
উদ্ধারকারী একই ভবনের বাসিন্দা সালাউদ্দিন জানান, রান্নার সময় হোসনে আরা চুলার ওপর পড়ে গেলে তার শরীরে আগুন ধরে যায়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মেয়ে তাসলিমাও সামান্য দগ্ধ হন।
আরো পড়ুন:
ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৩
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা-ছেলে দগ্ধ
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমান জানান, হোসনে আরার শরীরের ৮৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, তাসলিমা সুলতানার শরীরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে, যা গুরুতর নয়।
হোসনে আরার জীবন সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
ঢাকা/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাক্ষাৎকারের ২৫ মিনিট আগে আসায় চাকরি হলো না প্রার্থীর
সময়ানুবর্তিতাকে ভালো গুণ হিসেবে দেখা হয়। বিশেষ করে চাকরির সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক সময় এই গুণ হিতে বিপরীত হতে পারে। এমন একটি ঘটনা সম্প্রতি পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনের একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে, যা বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
ওই পোস্টে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক বলেছেন, একজন চাকরিপ্রার্থী নির্দিষ্ট সময়ের আগে সাক্ষাৎকার দিতে আসায় তাঁকে বাদ দিয়েছেন।
ওই ব্যক্তির নাম ম্যাথু প্রিওয়েট। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা রাজ্যে একটি পরিচ্ছন্নতা প্রতিষ্ঠানের মালিক। ঘটনাটি তিনি নিজেই লিংকডইনে শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, অফিসের প্রশাসক পদের জন্য একজন চাকরিপ্রার্থী সাক্ষাৎকারের জন্য নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট আগে উপস্থিত হয়েছেন। ওই প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এটি একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
পোস্টটি আলোচিত হওয়া শুরু করলে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন প্রিওয়েট। তিনি বলেন, যদিও চাকরির সাক্ষাৎকারে একটু আগে পৌঁছানো প্রশংসনীয় কাজ। তবে সময়ের অনেক আগে পৌঁছানো দুর্বল সময় ব্যবস্থাপনা বা সামাজিক সচেতনতার অভাবকে ইঙ্গিত দিতে পারে।
প্রিওয়েট ব্যাখ্যা করে বলেন, তাঁর অফিসটি ছোট। ওই প্রার্থী আগেভাগে আসায় তাঁকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। কারণ, তিনি ব্যবসাসংক্রান্ত ফোনকল শুনে ফেলতে পারেন।
প্রিওয়েট জোর দিয়ে বলেন, সাক্ষাৎকারের শিষ্টাচার অনুযায়ী সাধারণত প্রার্থীরা ৫ থেকে ১৫ মিনিট আগে পৌঁছাতে পারেন। তবে এর বেশি হলে তাঁকে অবিবেচক মনে হতে পারে।
ওই ব্যবসায়ীর পোস্টটি দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেকেই পক্ষে–বিপক্ষে মতামত দেন। কেউ কেউ তাঁর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তবে অনেকে প্রার্থীর পক্ষও নিয়েছেন।
পোস্টের নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘কাজটি ঠিক হয়নি। কী হাস্যকর মূল্যায়ন! তাঁকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমি তাঁকে এখনি চাকরি দেব।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘যদি তাঁর একমাত্র পরিবহন বাস হয়ে থাকে, অথবা আসার সময়ের ওপর তাঁর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থেকে থাকে? তাহলে তিনি দেরি না করার জন্য যা করার ছিল, তাই করতেন।’