ঈদ মানেই শাকিব খান অভিনীত সিনেমা। প্রত্যেক ঈদে তার অভিনীত একাধিক সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে থাকে। যদিও গত কয়েক বছরে তার অভিনীত একটি করে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে।

তবে ঈদুল ফিতরে শাকিব অভিনীত দুটি সিনেমা মুক্তির খবর শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে ‘বরবাদ’ সিনেমা ঈদে মুক্তির ঘোষণা আগে দিলেও সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্র এখনো হাতে পায়নি প্রযোজক। এর আগে সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে মুক্তির ঘোষণা দেন ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমার প্রযোজক।   

ঢালিউডে জোর গুঞ্জন, একাধিক জটিলতায় আটকে যেতে পারে ঈদের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। কারণ সিনেমাটি সার্টিফিকেশন বোর্ডের ছাড়পত্র পেতে একাধিক নিয়মের বাধা পেরোতে হবে। সেই বাঁধা কাটিয়ে গতকাল মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পেয়েছে এটি। সোমবার (২৪ মার্চ) ছাড়পত্রের জন্য সিনেমাটি জমা পড়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে।

আরো পড়ুন:

বুবলীকে খোঁচা দিলেন অপু?

ছোট ছেলের জন্মদিনে শাকিবের শুভেচ্ছা

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, “ছাড়পত্রের জন্য ‘বরবাদ’ আমাদের কাছে জমা পড়েছে। আজই আমরা সিনেমাটি দেখব। এরপরই আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।” 

গত ২২ মার্চ শাকিবের ৪ বছর আগের ‘অন্তরাত্মা’ সিনেমা হুট করেই চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়ে। ২০২১ সালে সিনেমাটির কাজ শেষ হয়। 

‘অন্তরাত্মা’ সিনেমার মুক্তি প্রসঙ্গে প্রযোজক সোহানী হোসেন বলন, “দীর্ঘ ৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। অবশেষে সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসছি। এটা ঈদুল ফিতরেই মুক্তি পাবে। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দিয়েছি। তারা দেখে প্রশংসা করেছেন। আমরা দু–এক দিনের মধ্যেই সার্টিফিকেশন সনদ পাব। এখন সেভাবেই হলমালিক থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে কথা হচ্ছে। তবে এটা নিশ্চিত, আমরা এই ঈদেই আসছি।”

ওয়াজেদ আলী সুমনের পরিচালনায় তরঙ্গ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ‘অন্তরাত্মা’ প্রযোজনা করেছেন সোহানী হোসেন। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও দর্শনা বণিক। সিনেমাটি ২০২১ সালের ঈদুল ফিতরে মুক্তির প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অজানা কারণে সিনেমাটি আর মুক্তি পায়নি।

মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’–এ শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে দেখা যাবে কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহানকে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ড়পত র কর ছ ন বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ 

অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিব্রত বোধ করেছেন আদালত। মামলাটি অন্য আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

সোমবার এ মামলায় নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য ছিল। নাসির হোসেন এবং তামিমা সুলতানা আদালতে হাজির হন।

তাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু আদালতে দুটি আবেদন করেন। এর মধ্যে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে একটি আবেদন করা হয়। কারণ হিসেবে আজিজুর রহমান দুলু বলেন, “এ মামলার বিচার চলছে। এ অবস্থায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গত ১৬ এপ্রিল মিডিয়াতে বলেন, নাসির হোসেন ব্যাভিচার করে তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন। বিচার শেষে আদালত নির্ধারণ করবেন, নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিয়ে গেছেন কি না এবং ব্যাভিচার করেছেন কি না।” 

একই সঙ্গে আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলার পুরো অভিযোগ না শুনিয়ে সারসংক্ষেপ পড়ে শোনানোর আবেদন করেন নাসির ও তামিমার আইনজীবী।

এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে অভিযোগ করেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আগে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেছেন। আইন অনুযায়ী তিনি এখন আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করতে পারেন না।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, উভয় পক্ষেরই আবেদন দেওয়ার অধিকার আছে। এটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এত সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রত বোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিই। এতে আপনারা কি নাখোশ হবেন?

তখন আইনজীবীরা জানান, এতে তাদের আপত্তি নেই। তখন আদালত বলেন, মামলাটা বদলি করে সিএমএম বরাবর পাঠিয়ে দিই। সিএমএম মামলাটি একটা কোর্টে পাঠিয়ে দেবেন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা সুলতানা তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শেখ মো. মিজানুর রহমান তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি আদালত নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তবে, এ মামলার অপর আসামি তামিমার মা সুমি আক্তারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। 

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ক্রিকেটার নাসির ও তামিমার মামলায় শুনানিতে আদালত বিব্রত
  • নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত, অন্য আদালতে বদলি
  • নাসির-তামিমার মামলার শুনানি বিব্রত আদালত, বদলির আদেশ