সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘ছাত্রনেতারা আগ্রহ নিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে মিটিং করতে গিয়েছিলেন। সেনাপ্রধান তাদের ডাকেননি। সেনাপ্রধানকে নতুন করে বিতর্কিত করা, সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব তৈরি করা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এর পেছনে কোনো দুরভিসন্ধি রয়েছে। কারা এসবের পেছনে কলকাঠি নাড়ছে তা উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।’ 

আজ সোমবার বরিশাল প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের জেলা ও মহানগর শাখার কর্মীসভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

সাবেক ডাকসু ভিপি নুর বলেন, নাগরিক পার্টির সারজিস ও হাসনাতের বক্তব্য চরম উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। হাসনাত বলেছেন, সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে পুনর্বাসন করতে চায়। আবার সারজিস বলছেন, সেনাপ্রধান তা বলেননি। আমাদের মনে হচ্ছে দুজনের একজন মিথ্যা বলছেন। নাগরিক পার্টিরই উচিত বিষয়টি তদন্ত করে আসল ঘটনা উন্মোচন করা।’ 

নুর বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার প্রশ্নই উঠে না। সেনাবাহিনী শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে ছিল। সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও ৪ আগস্ট হাসিনাকে বলেছিল ক্ষমতা ছাড়তে হবে। যেখানে পুলিশ-প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে সেনাবাহিনী নিরলস কাজ করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তাই সেনাবাহিনীকে নিয়ে এমন মন্তব্য কোনো ভাবেই কাম্য নয়।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি শামিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচএম হাসান, মহানগর সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন র ল হক ন র বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ গাড়ি নিয়ে যারা ইলেকশন ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে আমরা বুঝি: মির্জা ফখরুল

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে সোমবার পঞ্চগড় জেলার বোদা, পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা সফর নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘যারা ১০০ গাড়ি নিয়ে ইলেকশন ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে, সেটা আমরা ভালো বুঝি।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি জনগণের সঙ্গে আছে। অতীতে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। বিএনপি অবশ্যই জয়যুক্ত হবে। জনগণ যাতে বিএনপিকে ভালো বলে—এমন কাজ করতে দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, দেশে এমন সংকট তৈরি হয়েছে যে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত আজকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চলছে, যেটা তারা কোনোমতেই মেনে নিতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা আমাদের দেশকে রক্ষা করে, যারা সংকটে পাশে এসে দাঁড়ায়, তাদের কখনোই আমরা বিতর্কিত হতে দিতে পারি না।’

সংস্কার কোনো নতুন জিনিস নয় বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের অনেকগুলো বিশাল পাহাড় নিয়ে এসেছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রে যেতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া আর কোনো পদ্ধতি আছে, যাতে জনগণের কল্যাণ হতে পারে? আজকে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, যাতে এই প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়, বিলম্বিত হয়, অন্য কাউকে সাহায্য করা যায়, দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায়—সেই কাজগুলো শুরু হয়েছে।

আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও আহমদ আজম খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মামুন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাত-আট মাস পর জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যাশা নুরের
  • ১০০ গাড়ি নিয়ে যারা ইলেকশন ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে আমরা বুঝি: মির্জা ফখরুল
  • খুলনায় ভিপি নুরসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে ২ মামলা
  • ‘সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখলে গণঅভ্যুত্থান সফল হত না’
  • নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের ৬ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টা দুই মামলা
  • নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের ৫ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টা দুই মামলা
  • নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের ৫ নেতার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের পাল্টা দুই মামলা
  • সেনাবাহিনী ভূমিকা না রাখলে অভ্যুত্থান সফল হতো না: রাশেদ খাঁন
  • আগামী ১০ বছর জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে : নূর