তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল সোমবার সকালে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছেন। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। সাভারের কেপিজে হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তামিমের জ্ঞান ফিরেছে এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তামিম ইকবালের সুস্থতা কামনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এছাড়া তামিমের শরীরের খবর নিতে বা তাকে দেখতে হাসপাতালে ভক্তদের ভিড় না করার অনুরোধ করেছে বিসিবি। তামিমের পরিবারের পক্ষ থেকে তার সুস্থতা কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।

বিসিবি এক বার্তায় বলেছে, তামিমকে দ্রুত ও জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখনো চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। বিসিবি এবং প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে নিয়মিত তার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। বিসিবিও তামিমের পরিস্থিতি খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে।

বার্তায় বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘জটিল পরিস্থিতিতে তামিমকে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ায় আমরা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তামিমের জন্য দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মধ্যে যে উদ্বেগ তাতেই তার প্রতি দেশের মানুষের ভালবাসা প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর, ক্রীড়া উপদেষ্টা ও ক্রীড়া পরিষদ নিয়মিত তামিমের খোঁজ-খবর নিচ্ছে। বিসিবি খুব কাছ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং তার দ্রুত সুস্থতার জন্য যেকোন সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে।’

বিসিবি ভক্তদের অনুরোধ করে বার্তায় জানিয়েছে, ভক্ত ও দর্শনার্থীদের হাসপাতালে ভিড় না করার জন্য অনুরোধ করা গেল। এতে হাসপাতালের পরিবেশ ব্যহত হতে পারে। যা তামিমের চিকিৎসায় ব্যঘাত ঘটাতে পারে। ভক্তদের তামিমের শরীরের পরবর্তী আপডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। বিসিবি ও তামিমের পরিবার তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল র জন য অন র ধ

এছাড়াও পড়ুন:

স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে আ.লীগের পক্ষে মিছিল, আটক ৩

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে লাল পতাকা হাতে একদল লোক আওয়ামী লীগের পক্ষে মিছিল করেছেন। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের ধাওয়া দেয় এবং কয়েক জনকে মারধর করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করে। 

বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ফিরে যাওয়ার সময় মিছিল করেন তারা। 

হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, আনুমানিক সকাল ১১টার সময় ৫/৬ জন জাতীয় স্মৃতি সৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। এমন অভিযোগে তাদের আশুলিয়া থানা পুলিশ আটক করে। 

আরো পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বের লড়াই চলমান: বজলুর রশীদ

শ্রদ্ধার ফুলে সিক্ত স্মৃতিসৌধের বেদি

আটককৃতরা হলেন- মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা (৪৭), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম (৫০), আশুলিয়ার কলমা এলাকার মো. সোহেল পারভেজ (৪১)।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, লাল পতাকা হাতে অন্তত ৫০ জন লোক সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দিয়ে কয়েকজনকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তিনজনকে আটক করে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায়।

আটকের পর পুলিশের গাড়িতে অবস্থানকালে আটককৃতদের একজন বলেন, ‍“আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ মুক্তিযুদ্ধের অবদান। তাই শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলাম।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ