Risingbd:
2025-04-15@10:44:41 GMT

অর্কিড কাঞ্চনে সেজেছে রাবি

Published: 24th, March 2025 GMT

অর্কিড কাঞ্চনে সেজেছে রাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) জুড়ে ধূসর পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে বেগুনি ও গোলাপি রঙের কাঞ্চন ফুল। একটি-দুটি নয়, শত শত গাছে ফুটে থাকায় তৈরি হয়েছে কাঞ্চনের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

ক্যাম্পাসের রাস্তাঘাট, হলের পুকুরপাড়, শহীদ মিনার, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনসহ সব জায়গায় কাঞ্চনের উপস্থিতি প্রকৃতিকে করে তুলেছে আরো দৃষ্টিনন্দন। সৌন্দর্য্যবর্ধন ছাড়াও হাঁপানি, ক্ষত এবং পেটের পীড়ায় গাছটির বিভিন্ন অংশ বেশ উপকারী।

রক্ত কাঞ্চন, দেব কাঞ্চন এবং শ্বেত কাঞ্চনসহ বহুল প্রচলিত প্রজাতিগুলোর পাশাপাশি ৫ বছর আগে থেকেই ক্যাম্পাসে বিরল প্রজাতির অর্কিড কাঞ্চন গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরো ক্যাম্পাসকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে এ বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন অ্যাগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড.

মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।

আরো পড়ুন:

ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ রাবি শিক্ষার্থীদের

রাবির গবেষণা: মাটি ছাড়াই উৎপাদন হবে সবুজ পশুখাদ্য

কৃষি অনুষদের এ অধ্যাপক ব্যক্তি উদ্যোগে প্রথমে মাত্র একটি গাছ থেকে চারা তৈরির উদ্যোগ নেন। পরে তা বৃহৎ পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে দেন।

অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, “একটি কাঞ্চন গাছ আমাদের এক অফিস সহকারী শহর থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। সেখানে দুটি গাছ জন্ম নেয় এবং পরপর তিন বছর ফুল দেয়। এ গাছের ফুল এতই সুন্দর যে, যে-ই দেখত, তাকিয়ে থাকত।”

তিনি বলেন, “এ কাঞ্চনের নাম অর্কিড কাঞ্চন। এটি লিগুমিনোসি (Leguminosae) পরিবারের উদ্ভিদ, যার বৈজ্ঞানিক নাম বাউহিনিয়া ব্ল্যাকিয়ানা (Bauhinia blakeana)। এ গাছের উৎপত্তি চীনে। সাধারণত বসন্তকালে ফুল দেয় এবং ফুলগুলো মাসব্যাপী থাকে। ফুল আসার আগে এর পাতাগুলো বেশির ভাগ সময় ঝরে যায়।”

তিনি আরও বলেন, “প্রথম নজরে আসার পর প্রশাসন ফুলটির সৌন্দর্য লক্ষ্য করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের অধীনে আমি ব্যক্তিগতভাবে বীজ সংগ্রহ করি এবং ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন স্যারের সহযোগিতায় পাঁচ শতাধিক চারা তৈরি করি। এ ফুলের সৌন্দর্য অন্যান্য ফুলের তুলনায় অনেক আকর্ষণীয়। এ গাছে প্রচুর ফুল হয়, রয়েছে ঔষধি গুণও।”

অর্কিড কাঞ্চন বাংলাদেশে অভিযোজিত একটি নতুন উদ্ভিদ। গাছটির উচ্চতা প্রায় ৮ মিটার পর্যন্ত হয়। এর ফুলের প্রস্ফুটনকাল নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত। বিরল প্রজাতির রক্ত কাঞ্চন ফুলপ্রেমী সবার কাছে একটি পরিচিত নাম। দেব কাঞ্চন, শ্বেত কাঞ্চন ও রক্ত কাঞ্চন—এ ফুলের উল্লেখযোগ্য প্রজাতি। তবে কাঞ্চনের মধ্যে রক্ত কাঞ্চনই শীর্ষে স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তো বটেই, এ কাঞ্চনের সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছেন দর্শনার্থীরাও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিদ আহমেদ বলেন, “ক্যাম্পাসে প্রায় প্রত্যেক ঋতুতেই কিছু না কিছু ফুল আমাদের মুগ্ধ করে। গ্রীষ্মে রক্ত কাঞ্চন ফুলের আকর্ষণীয় রঙ আর পাঁপড়ির নমনীয়তা অসম্ভব সুন্দর লাগে। ক্যাম্পাসে এসে রক্ত কাঞ্চন আভায় বিমোহিত হই।”

ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা এক দর্শনার্থী জানান, রোকেয়া হলের পাশের কাঞ্চনের বাগানটি অপূর্ব সুন্দর। এটি দেখলে সবার মনে এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে। রঙ আর রূপের অপূর্ব সমন্বয়ে বর্ণিল এ ফুল যেন প্রকৃতিকে সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আনাচে-কানাচে সড়কের ধারে সারি সারি অর্কিড কাঞ্চনের চারা রোপনের কাজ অব্যহত আছে। এপ্রিল থেকে মালিরা বীজ সংগ্রহ করেন এবং এক মাসের মধ্যেই সেগুলো বপন ও পরিচর্যা শুরু করেন। বর্ষাকালে গাছগুলো নির্দিষ্ট স্থানে রোপণ করলে দুই বছরের মধ্যে ফুল ফুটতে শুরু করে। তবে রঙ, শোভা ও সৌন্দর্যের কারণে রক্ত কাঞ্চনই সৌন্দর্য্যপ্রেমীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয়।

বাগানের মালি আলতাফ হোসেন জানান, মার্চের মাঝামাঝি বা শেষে কাঞ্চনের বীজ সংগ্রহ করে তা শুকিয়ে পলিথিন ব্যাগে রোপণ করা হয়। পরে এপ্রিল-মে মাসের দিকে চারা উঠিয়ে প্রস্তুত করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক গাছ লাগানো হয়েছে।

এ গাছ লাগানোর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা। তিনি বলেন, “সারা দেশে অর্কিড কাঞ্চনের এত বড় সংগ্রহ আর কোথাও নেই। এগ্রিকালচার বিল্ডিংয়ের সামনে একসময় রক্ত কাঞ্চনের একটি গাছ ছিল। গাছটিতে মার্চের শুরুর দিকে এত ফুল ফুটত যে, সেখানে কোনো পাতা থাকত না। তখনই মাথায় আসে ক্যাম্পাসজুড়ে গাছটি ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা।”

তিনি বলেন, “অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিনের সহায়তায় রোকেয়া হলের সামনের পুকুরপাড়সহ প্রশাসন ভবনের সামনে ও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে গাছটি রোপণ করা হয়, যা অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন দর য

এছাড়াও পড়ুন:

রেকর্ড গড়ল অজিতের সিনেমা

তামিল সিনেমার দাপুটে অভিনেতা অজিত কুমার। তাকে নিয়ে পরিচালক আধিক রবিচন্দ্রন নির্মাণ করেছেন ‘গুড ব্যাড আগলি’। অ্যাকশন কমেডি ঘরানার সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তৃষা কৃষ্ণান। গত ১০ এপ্রিল বিশ্বের ৮ হাজার পর্দায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।

চলতি বছরে ভারতের বেশ কটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ‘গুড ব্যাড আগলি’ (৫১.৫ কোটি রুপি)। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তামিল ভাষার সিনেমা ‘বিদামুয়াচি’ (৪৮ কোটি রুপে)। এবার নতুন রেকর্ড গড়ল সিনেমাটি।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, অভিনেতা হিসেবে যেমন রেকর্ড গড়েছেন, তেমনি ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল চলচ্চিত্র শিল্পকে সাফল্যের স্বাদও এনে দিয়েছেন অজিত। মুক্তির পাঁচ দিনের মাথায় ‘ড্রাগন’ সিনেমার আয় ছাড়িয়ে গেছে। এটি চলতি বছরে মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে আয় (লাইফটাইম: ১৫২ কোটি রুপি) করা তামিল সিনেমা।

আরো পড়ুন:

৩ দিনে অজিতের সিনেমার আয় ১৫৮ কোটি টাকা

কয়েক কোটি টাকার প্রস্তাব কেন ফেরালেন সামান্থা?

স্যাকনিল্কের তথ্য অনুযায়ী, ‘গুড ব্যাড আগলি’ সিনেমা মুক্তির প্রথম দিনে শুধু ভারতে আয় করে ২৮.১৫ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিনে ১৪.১ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে ১৮.৬৫ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে ২১.২ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে ১৪.৫ কোটি রুপি (নিট)। যার মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৯৬.৬ কোটি রুপি (নিট)। ভারতে এখন পর্যন্ত আয় করেছে ১১৯.৭৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বিদেশে আয় করেছে ৫২.১৫ কোটি রুপি (গ্রস)। ৫ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট দাঁড়িয়েছে ১৭১.৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি)।

তা ছাড়াও সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন— অর্জুন দাস, প্রভু, সুনীল, জ্যাকি শ্রফ, যোগী বাবু, প্রিয়া প্রকাশ প্রমুখ। মিথরি মুভিজ মেকারের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে ‘গুড ব্যাড আগলি’। এতে ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি রুপি।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ