ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে বিকেএসপি গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। ম্যাচ চলাকালীন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হার্টে ব্লক ধরে পড়ে জাতীয় দলের সাবেক এই ওপেনারের। তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তামিমের জ্ঞান ফিরেছে এবং তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে শাইনপুকুরের সঙ্গে ম্যাচ ছিল তামিমদের মোহামেডানের। ওই ম্যাচে তামিমের জায়গায় ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামেন মেহেদী মিরাজ। তিনি সেঞ্চুরি করে মোহামেডানকে ৭ উইকেটে জিতিয়েছেন।

সোমবারের ম্যাচে শাইনপুকুর প্রথমে ব্যাট করে এক বল থাকতে ২২৩ রানে অলআউট হয়। দলটির অধিনায়ক রায়ান রাফসান ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। বাঁ-হাতি স্পিন অলরাউন্ডার শরিফুল ইসলাম ৫৭ রান যোগ করেন।

জবাবে মোহামেডান ৪২.

২ ওভারে জয় তুলে নেয়। ওপেনিংয়ে নেমে মেহেদী মিরাজ ও রনি তালুকদার ১৬৪ রান যোগ করেন। রনি ৮৬ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলেন। মিরাজ ৮৬ বলে ১০৩ রান যোগ করেন। তার ব্যাট থেকে ১০টি চার ও তিনটি ছক্কা আসে।

এর আগে মোহামেডানের হয়ে স্পিনার তাইজুল ইসলাম ৯ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। স্পিনার মিরাজ ও নাসুম আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন। সাইফউদ্দিন নেন ২ উইকেট। ডিপিএলের অষ্টম রাউন্ড শেষে পয়েন্ট টেবিলে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মোহামেডান। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল ত ম ম ইকব ল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের

খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদ এবং উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এ সমাবেশ করেন তারা।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর, গোলাম রাব্বানী, তানভীর মন্ডলসহসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন:

কুয়েটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি ইবি ছাত্র ইউনিয়নের

ইবিতে এক কার্ডেই মিলবে সব সেবা

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায়ভাবে কুয়েট প্রশাসন প্রহসন চালাচ্ছে। ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশে আছি। অনতিবিলম্বে কুয়েট প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এ দেশের ছাত্রসমাজ আবারো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে। 

সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ছাত্র রাজনীতি মুক্ত একটি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্র রাজনীতিকে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিরাগত কর্তৃক শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের উপর যেভাবে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছে তা চরম অদক্ষতার পরিচয় দেয়।”

তিনি বলেন, “ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই এ ধরণের শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ প্রশাসনকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সবসময় কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পাশে আছি।”

সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, “অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে কুয়েট উপাচার্যের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু তিনি একটি দল বা গোষ্ঠীকে সবসময় সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। কুয়েট উপাচার্য সরাসরি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তার চেয়ারে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “যিনি ছাত্রদের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেন না, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে থাকতে পারেন না। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনতিবিলম্বে কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো  খোলা ও ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ