কথা নয় কাজ করে দেখাতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘এতদিন সাধারণ মানুষকে নেতারা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে। ভোটের আগের দিন যায় আর কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়। আগামীর বাংলাদেশে কেউ আর দলের নাম দেখে মার্কা দেখে ভোট দেবেন না।’ 

আজ সোমবার দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বিজয় চত্বরে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘ভোটের পরে কোনো কাজের জন্য জনপ্রতিনিধির কাছে গেলে তারা টাকার জন্য হাত পাতেন। নতুন বাংলাদেশ আর এইগুলা আর হতে দেওয়া যাবে না। যিনি জনপ্রতিনিধি হয়ে লুটপাট করবে তাদের আর ভোট দেওয়া যাবে না। ৫ বছরে যদি কোনো নেতার কাছে একদিন কোনো কিছু নেন তাহলে তিনি আপনার রক্ত চুষে খাবে। এই সুযোগ কোনো মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি বা মন্ত্রী দেওয়া যাবে না।’

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা ভুল করলে শুধরে দেবেন। আর কোনো দলের অন্ধ ভক্ত হবে না। অন্ধ ভক্ত হলে আপনার মূল্য কেউ দেবে না। আমরা আপনাদের কাছে মার্কা নিয়ে যাব, যদি আপনাদের কথা রাখতে পারি তাহলে ভোট দেবেন। পঞ্চগড় আমার জন্মভূমি তাই আপনাদের কাছে আমার আলাদা দাবি আছে।’

পরে সারজিস আলম বোদা উপজেলায় যান। তিনি সন্ধ্যায় আটোয়ারীতে ইফতার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার সকাল ৬টার দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

প্রধান উপদেষ্টার পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ