দিনাজপুরে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দিনাজপুরের চার শহীদ পরিবারের মাঝে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী  প্রদান করা হয়েছে। 

শহীদগণ হলেন, দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ৬ নম্বর ভান্ডারা ইউনিয়নের নাগরবাড়ি গ্রামের শহীদ মো. জিয়াউর রহমান, একই উপজেলার মাধবাটির করলা গ্রামের শহীদ মো.

মাসুম রেজা, সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের রাণীগঞ্জের শহীদ রবিউল ইসলাম রাহুল এবং পাহাড়পুরের শহীদ রুদ্র সেন।

শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী-সন্তান, দাদা-দাদি ও ভাই-বোন ঈদ উপহার সামগ্রী গ্রহণ করেন।

ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, দিনাজপুর জেলায় উপহার সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের সমন্বয়ক এবং হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) অধ্যাপক মো. আবু হাসান, কৃষিবিদ আবু তারিক সিদ্দিকী।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সদস্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, হাবিপ্রবির অধ্যাপক মো. হাসানুজ্জামান, অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর কবির, অধ্যাপক এরফান আলী খোন্দকার, অধ্যাপক মো. কুতুবউদ্দিন, অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ প্রমুখ।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার চার শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল পার্বতীপুরের শহীদ শিমুল, বীরগঞ্জের শহীদ আল আমিন ইসলাম এবং চিরির বন্দরের শহীদ সুমন পাটোয়ারীর পরিবারের কাছে ঈদ উপহার পৌঁছানো হবে।

ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

এস আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

এক হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামলা দুটি করেন। পরে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।’

গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ২৪ আগস্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। আয়কর নথি অনুযায়ী করবর্ষ ২০১০-১২ এর রিটার্ন দাখিলের আগ পর্যন্ত তাঁর আগের সঞ্চয় ছিল ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭ টাকা।

২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়সহ সাইফুল ইসলামের গ্রহণযোগ্য আয় ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ টাকা। এ সময় তাঁর মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ টাকা।

অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পেয়েছে, সাইফুল আলম ৯৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৩৯৯ টাকা। গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।

অন্যদিকে, সাইফুল আলমের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, তিনি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ফারজানার স্থাবর-অস্থাবর, ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৩ টাকা। তাঁর অতীত সঞ্চয়সহ গ্রহণযোগ্য আয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। বাকি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ সম্পদকে পাচার বলছে দুদক। বিদেশে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার ওপর নির্ভর করে মামলার তদন্তে তা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ