ঐকমত্য কমিশনে প্রস্তাবনা জমা দিয়েছে নেজামে ইসলাম পার্টি
Published: 24th, March 2025 GMT
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে মতামত জমা দিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি।
সোমবার (২৪ মার্চ) শেরেবাংলা নগরে সংসদ ভবনস্থ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদারের কাছে সংস্কার প্রস্তাব সম্পর্কে নিজেদের প্রস্তাবনা জমা দেয় দলটির সংগঠন সচিব মাওলানা আবু তাহের খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হতে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
উল্লেখ্য, প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ ২১টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মতামত পেয়েছে কমিশন।
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। ইতোমধ্যে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ লেবার পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে আলোচনা করেছে কমিশন। ঈদের পরে পর্যায়ক্রমে বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনের ১১৩ সুপারিশে একমত এনসিপি
রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশ প্রস্তাবের মধ্যে ১১৩টিতে একমত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তারা বলেছে, যে সুপারিশগুলো সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আর সংবিধান–সম্পর্কিত বিষয়গুলোর জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন।
রোববার দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার নিয়ে নিজেদের লিখিত মতামত জমা দেয় এনসিপি। পরে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির কো-অর্ডিনেটর সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় দলটির সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মুনিরা শারমিন, জাবেদ রাশিম, আরমান হোসাইন ও সালেউদ্দিন সিফাত উপস্থিত ছিলেন।
সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের বলেন, তারা ১১৩টি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছেন। ২৯টি প্রস্তাবের বিষয়ে আংশিকভাবে একমত হয়েছেন। স্প্রেডশিটে মতামত জানানোর পাশাপাশি কিছু ক্ষেত্রে তারা মন্তব্য করেছেন; কেন একমত হননি, সেটাও সেখানে তুলে ধরা হয়েছে।
এনসিপি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদদের বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। তবে তারা বলেছে, নির্বাচনের আগেই উচ্চকক্ষের প্রার্থী কারা, তা দলগুলোকে ঘোষণা করতে হবে। কারণ, নির্বাচনে একজন ভোটার একটি দেবেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর জানার অধিকার আছে উচ্চকক্ষে কারা যাচ্ছেন।
এনসিপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন। তবে তা বাধ্যতামূলক না করার প্রস্তাব তারা দিয়েছে।
এনসিপি বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার হতে হবে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের মেয়াদ ৭০ থেকে ৭৫ দিন হতে পারে। একটা পর্যায়ে গিয়ে এই সরকারের প্রয়োজন হবে না। সংবিধানে যে সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই কাউন্সিলে এই দায়িত্ব নিতে পারে।