শাকিবের ‘অন্তরাত্মা’ এই ঈদেই মুক্তি, সেন্সরে জমা পড়েছে ‘বরবাদ’
Published: 24th, March 2025 GMT
আসন্ন ঈদে সম্ভবত দুই সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে চিত্রনায়ক শাকিব খানের। কারণ নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ছাড়পত্রের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছে ‘বরবাদ’। অন্যদিকে, এই ঈদেই মুক্তি পাচ্ছে শাকিবের আরেক সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’ বলে নিশ্চিত করছেন সিনেমাটির প্রযোজক।
ঢালিউড পাড়ায় জোর গুঞ্জন ছিল, একাধিক জটিলতায় আটকে যেতে পারে ঈদের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। সিনেমাটি সার্টিফিকেশন বোর্ডে ছাড়পত্রের পেতে একাধিক নিয়মের বাধা পেরোতে হবে। সেই বাঁধা কাটিয় গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পেয়েছে সিনেমাটি। আর আজ সোমবার ছাড়পত্রের জন্য সিনেমাটি জমা পড়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে।
এই খবর নিশ্চিত করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানিয়েছেন, ছাড়পত্রের জন্য “বরবাদ” আমাদের কাছে জমা পড়েছে। আজই আমরা সিনেমাটি দেখব। দেখার পরপরই আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’
অন্যদিকে, গেল শনিবার (২২ মার্চ) শাকিবের ৪ বছর আগের সিনেমা হুট করে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছে। সেটি ২০২১ সালে শেষ হওয়া শাকিব খানের ‘অন্তরাত্মা’।
‘অন্তরাত্মা’ সিনেমাটির মুক্তির প্রসঙ্গে প্রযোজক সোহানী হোসেন বলছেন, ‘দীর্ঘ ৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। অবশেষে আমরা সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসছি। এটা ঈদুল ফিতরেই মুক্তি পাবে। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দিয়েছি। সিনেমাটি তারা দেখেছে ও প্রশংসা করেছে। আমরা দু–এক দিনের মধ্যেই সার্টিফিকেশন সনদ পাব। এখন সেভাবেই হলমালিক থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে কথা হচ্ছে। তবে এটা নিশ্চিত, আমরা এই ঈদেই আসছি।’
‘অন্তরাত্মা’ পরিচালনা করেছেন ওয়াজেদ আলী সুমন এবং তরঙ্গ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে প্রযোজনা করেছেন সোহানী হোসেন। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন শাকিব খান ও দর্শনা বণিক। সিনেমাটি ২০২১ সালের ঈদুল ফিতর মুক্তির প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে এক অজানা কারণে সিনেমাটি আর মুক্তি পাইনি।
আর মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’–এ আরও অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে থাকবেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান। ছবির বড় অংশের শুটিং হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুদকের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক মালেকের ১৩ বছর কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক মো. আবদুল মালেককে ১৩ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন আজ রোববার এ রায় দেন। রায়ের আগে কারাগার থেকে মালেককে আদালতে হাজির করা হয়। রায়ের পর তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
রায়ের তথ্য অনুযায়ী, সম্পদের তথ্য গোপন করার অপরাধে মালেককে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ টাকা। আর অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে তাঁকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানা করা হয়েছে ১ লাখ টাকা।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মালেকের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয় ২০২১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মালেক দুদকে দাখিল করা সম্পদের বিবরণীতে ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন। তিনি তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত ১ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার ৮১০ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান রানা।
এর আগে ২০২১ সালে অস্ত্র মামলায় মালেককে ৩০ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
অষ্টম শ্রেণি পাস মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। গ্রেপ্তারের আগপর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।