ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। মেডিকেল সূত্রের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজাজুড়ে রাতভর হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। 

খবরে বলা হয়েছে, নাসের হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণের পর নতুন করে এসব হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত মঙ্গলবার গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্য দিয়ে গাজায় প্রায় দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে। মঙ্গলবারের একদিনের হামলায় গাজায় চার শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর শুরু হওয়া হামলায় রবিবার পর্যন্ত ৬৭৩ জন নিহত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলি হামলায় গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রী নিহত

ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা নিহত

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার জন্য হামাসকে দায়ী করেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে গত জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতির মূল চুক্তি পরিত্যাগ করার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে হামাস।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালালে গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ইসরায়েলে হামাস হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ব্যক্তি নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস।

জবাবে হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

দ্বিতীয় স্বাধীনতা যাঁরা বলেন, তাঁরা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চান: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘অনৈক্য কিছু নেই। স্বার্থের সংঘাত আছে, প্রতিটি দলের নিজস্ব আদর্শিক জায়গা আছে, যার যার একটা মতাদর্শ আছে। যার যার মতাদর্শ থেকে কথা বলে। এটা আমি অনৈক্য বলব না। এমন সময় যদি কখনো আসে, জাতীয় বৃহত্তর ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন পড়বে, তখন কিন্তু আমরা সবাই এক হয়ে যাব। এখানে কোনো ভুল নেই।’

আজ বুধবার মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সকাল সোয়া আটটার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখন দলীয় আদর্শের ভিত্তিতে হয়তো আলাদা কথা বলছি, হতে পারে। কিন্তু যখন প্রয়োজন হবে, তখন বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এক হয়ে যাবে। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ মাঝে হারিয়ে ফেলেছিলাম। ৫ আগস্টের পরে আবার নতুন করে পেয়েছি।’

বাংলাদেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে কিছু নেই মন্তব্য করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন করে স্বৈরাচারকে তাড়িয়ে স্বাধীনতার নতুন স্বাদ পেয়েছি। অনেকে বলেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা। আসলে আজকের স্বাধীনতা দিবস প্রমাণ করে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই। যাঁরা বলেন, তাঁরা আজকের স্বাধীনতা দিবসকে খাটো করতে চান, একাত্তরের স্বাধীনতায় তাঁদের কোনো ভূমিকা ছিল না। সুতরাং এই দিনটাকে তাঁরা খাটো করতে চান। আমি বলব, তাঁরা যেন এখানেই বিরত থাকেন। এই স্বাধীনতা দিবসকে যেন সম্মান জানান এবং সম্মান করেন।’

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় আছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আমরা সেখানেই বিশ্বাস রাখতে চাই। এখানে আমরা বিশ্বাসের পরিবর্তন করতে চাই না।’

নির্বাচন নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না, এমন এক প্রশ্নে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলই প্রতিপক্ষ। নির্বাচন হবে না—এমনটা বিশ্বাস করতে চাই না।’ ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে বিএনপির পদক্ষেপ কী হবে—এমন প্রশ্নে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘নির্বাচন হবে না—এমনটা আমরা বিশ্বাস করি না। তেমন কিছু হলে সময় এলে দেখা যাবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ