হঠাৎ বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দেশের সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়ায় জরুরি ভিত্তিতে অ্যানজিওগ্রাম ও স্টেন্ট পরানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তামিমের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আরেক কিংবদন্তি মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি লেখেন,  'মহান আল্লাহ তোর সহায় হোন, তামিম। দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আয় সবার মাঝে ইনশাআল্লাহ।'

সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের হয়ে মাঠে নামার আগে টস করলেও খেলা শুরুর আগেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তামিম। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান, তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন।

ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস জানিয়েছেন, জ্ঞান ফিরেছে তামিমের। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘জ্ঞান ফিরেছে তামিম ইকবালের, তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। তামিমের জন্যে সবাই দোয়া করবেন।’ 

তামিমের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর রাজিব। তিনি বলেন, ‘যত ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, সবকিছু করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য একটা অ্যানজিওগ্রাম, অ্যানজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্ট করা হয়েছে। এটা খুব স্মুথলি এবং এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। ওনার এই ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন।’

তবে এখনো পুরোপুরি জটিলতা কাটেনি বলে জানান ডা.

রাজিব, ‘একটু ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিল। স্টেন্ট পরও তিনি অবজারভেশনে আছেন। এবং ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, একটু সময় লাগবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় দুই তরুণকে অপহরণ: পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আরও এক সদস্য গ্রেপ্তার

বগুড়া থেকে দুই তরুণকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে করা মামলায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) আরও এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী নগর থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ওই সদস্যের নাম ওহাব আলী (২৮)। তিনি ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।

এ নিয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের এক উপপরিদর্শকসহ ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিবি সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসের চালকও গ্রেপ্তার হয়েছেন।

বগুড়ার ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের অপহরণের শিকার কলেজছাত্র মো. রাব্বীর বাবা সেলিম শেখ বাদী হয়ে গত সোমবার ধুনট থানায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ এনে এ মামলা করেন।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম, কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম, বশির আলী, ওহাব আলী (২৮) ও মাইক্রোবাসচালক মেহেদী হাসান।

আরও পড়ুনবগুড়ায় দুই তরুণকে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে মামলা, ডিবির ৫ সদস্য গ্রেপ্তার২৪ মার্চ ২০২৫

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল আলম বলেন, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তার ওহাব আলীকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত সোমবার ভোরের দিকে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের নন্দীগ্রাম উপজেলার বীরগ্রাম এলাকায় হাইওয়ের কুন্দারহাট থানা-পুলিশের একটি দল মাইক্রোবাস থামিয়ে ডিবির ওই পাঁচ সদস্য ও গাড়িচালককে আটক করে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের নগদ দুই লাখ টাকা, ডিবির পোশাক ও পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন প্রথম আলোকে বলেন, বগুড়ায় গ্রেপ্তার হওয়া ডিবির সদস্যদের শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ