ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের পর তামিম ইকবালের হার্টে রিং পরানো হয়। এরপর তাকে কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (সিসিআই) পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। জানা গেছে ইতোমধ্যে জ্ঞান ফিরেছে তার। কথা বলতে শুরু করেছেন তিনি।
ইতোমধ্যে তামিম ইকবালকে দেখতে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজে পৌঁছেছে তার পরিবার।
বিস্তারিত আসছে…
আরো পড়ুন:
রিং পরানো হয়েছে তামিমের, আছেন সিসিইউতে
হাসপাতালের পথেই তামিমের ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’, যা জানা গেল
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফুলে ফুলে ভরেছে বেদি, শ্রদ্ধায় সিক্ত স্মৃতিসৌধ
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ বুধবার (২৬ মার্চ)। বাঙালি জাতির জীবনে অনন্য একটি দিন। ৫৫ বছর আগে এই দিনে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন কৃষক-ছাত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশার নানা বয়সী মানুষ। ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে তারা ছিনিয়ে আনেন বিজয়। জন্ম হয় বাংলাদেশ নামে রাষ্ট্রের।
স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহর সকাল ৫ টা ৪৩ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন। তিনি প্রথমে স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ৬ টা ৫ মিনিটে স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সকাল ৬ টা ৭ মিনিটের দিকে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ৬টা ১৫ মিনিটে তিনি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
আরো পড়ুন:
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
পঞ্চনারীর মনোমুগ্ধকর অভিনয়
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পরেই স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর ফুলের ডালা নিয়ে জাতির বীর সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে।
শিশু থেকে প্রবীণ সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখর হয়ে ওঠে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শ্রদ্ধা জানান সাধারণ মানুষও। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদি।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও আসেন শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের অনেকের হাতে ছিল লাল-সবুজের বিজয় পতাকা।
বাবার সাইফুল ইসলামের হাত ধরে ঢাকার ধামরাই থেকে স্মৃতিসৌধে এসেছিল শিশু মাইশা। সাইফুল ইসলাম বলেন, “সন্তানকে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কে জানাতে ও স্মৃতিসৌধ দেখাতে নিয়ে এসেছি।”
সাভার থেকে এসেছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আকরাম হেসেন। তিনি বলেন, “এবার রোজার কারণে স্মৃতিসৌধে লোকজন তুলনামূলক অনেক কম এসেছেন। আমি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে ভোরে এসেছি। আমার অফিসের অনেক কলিগ সেহরির পরপরই ঢাকা থেকে রওনা দেন স্মৃতিসৌধে আসার জন্য। স্মৃতিসৌধে সবাইকে নিয়ে ফুল দিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।”
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইভা বলেন, “বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসব এটা অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনায় ছিল। আমরা কয়েকজন একসঙ্গে স্মৃতিসৌধে এসেছি। স্বাধীনতা দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে ভালো লাগছে।”
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্তের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, “সকালে জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করার পর দলে দলে মানুষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। শ্রদ্ধার ফুলে ধীরে ধীরে বেদি ভরে যাচ্ছে। শ্রদ্ধা নিবেদনে সুবিধার্থে বেদি থেকে ফুল অপসারণ করা হচ্ছে।”
ঢাকা/মাসুদ