দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির জানালার গ্রিল ভেঙে এক মাদক কারবারি পালিয়ে গেছেন। গতকাল রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম রয়েল। তিনি উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের কাজিপাড়া গ্রামের মৃত্যু সাকাদ আলীর ছেলে।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, “যৌথ বাহিনী গত শনিবার রাত অভিযান চালিয়ে রয়েলকে তিন বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করে। তারা তাকে আফতাবগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হেফাজতে রাখে। পরে রুমে থাকা অবস্থায় জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান তিনি। আমরা আসামিকে ধরার চেষ্টা করছি।”

আরো পড়ুন:

বাবাকে মানসিক রোগী সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি, পরে উদ্ধার

ছাত্রদল নেতাকে ‘হত্যার’ হুমকি, থানায় জিডি

ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গোলিয়ায় দুই নখের বিরল ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান

এশিয়ার দেশ মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে দুই নখের বিরল প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা।

গবেষকেরা জানান, দুনোয়চুস সোগতবাতারি নামের অনন্য এ প্রজাতি থেরিজিনোসরস ডাইনোসরদের দলভুক্ত। এই প্রজাতির ডাইনোসর পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াত। সাধারণত এ প্রজাতির ডাইনোসরের তিনটি নখ ছিল।

সন্ধান পাওয়া ডাইনোসরের জীবাশ্মটি মাঝারি আকারের। এই ডাইনোসরের আনুমানিক ওজন ২৬০ কেজি।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে সাড়ে ১৬ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের ২০০টি পায়ের ছাপের সন্ধান১৪ জানুয়ারি ২০২৫

গবেষকেরা ধারণা করছেন, এই ডাইনোসরের লম্বা আর বাঁকানো নখ প্রজাতিটিকে দৃঢ়ভাবে গাছের ডাল বাঁকাতে ও আঁকড়ে ধরতে দক্ষ করে তুলেছিল।

গবেষণা প্রতিবেদনের লেখকদের একজন এবং কানাডার ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক দারলা জেলেনিটস্কি বলেন, এ প্রজাতির ডাইনোসর দেখতে বিশাল আর অদ্ভুত। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন’ চলচ্চিত্রে এ প্রজাতিকে দেখানো হয়েছে।

মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমির বায়ানশিরি গঠনে জীবাশ্মটির সন্ধান মিলেছে। এটা ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষ ভাগের। ১০ কোটি ৫ লাখ বছর থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগের সময়কালকে এ যুগ ধরা হয়।

আরও পড়ুনডাইনোসর ফিরিয়ে আনতে চান বিজ্ঞানীরা২৫ নভেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) পক্ষ থেকে মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিকে বিশ্বে ডাইনোসরের জীবাশ্মের সবচেয়ে বড় আধার বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ অঞ্চল পরবর্তী ক্রিটেসিয়াস যুগের জীবাশ্মের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটিকে ডাইনোসর যুগের প্রধান তিন সময়কালের শেষ ভাগ ধরা হয়, যা ডাইনোসর বিবর্তনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় এক ফুট লম্বা নখগুলো এ প্রজাতির ডায়নোসরের কিছু হাড়ের চেয়ে বড়। এই নখ গাছের ডাল আঁকড়ে ধরার পাশাপাশি মাটি খোঁড়া ও ভয়ংকর অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। এই নখ ডাইনোসরের প্রতিরক্ষা, চলাচল আর শিকার ধরার জন্য সহায়ক ছিল।

আরও পড়ুননিলামে উঠছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের কঙ্কাল, দাম কত জানেন১৫ জুলাই ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ