ঈদযাত্রায় ট্রেনে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছে মানুষ
Published: 24th, March 2025 GMT
ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানী ছাড়তে শুরু মানুষ। ভোগান্তি এড়াতে পরিবার নিয়ে আগেভাগে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। গত ১৪ মার্চ যারা টিকিট কিনেছিলেন তারা আজ ভ্রমণ করছেন। তাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ দেখা গেছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার পরিজন নিয়ে গ্রামে যাওয়ার সময়ে আগেই স্টেশনে এসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন অনেকেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা পরিবারসহ বাড়ি যাচ্ছি আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ঈদ করতে। এবার ঈদে আগেই ছুটি পাওয়ার কারণে তাড়াতাড়ি যেতে পারছি। এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক ভালো। তেমন ঝামেলা নেই। রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।”
রাজশাহীগামী আরেক যাত্রী তাবাসসুম মীম বলেন, “ঈদযাত্রায় প্রতিবারই প্রথম ট্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করি, বাচ্চাদের নিয়ে ভ্রমণ করা কষ্টকর। যাতে কোন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে না হয় তাই আগেভাগেই যাচ্ছি। ট্রেনে এবারের ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো।”
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, “আজ সকাল ৬ টায় রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রার মধ্যমে ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি৷ আরএনবি, রেলওয়ে পুলিশের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে৷ সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে৷ কোন ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা বাড়ি যেতে পারছেন এবং সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।”
ঢাকা/রায়হান/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের পথে জার্মানিও, ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় চারজনকে বিতাড়নের নির্দেশ
জার্মানির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থীদের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ উঠেছে। দেশটি ফিলিস্তিনপন্থী চার বিদেশি নাগরিককে বিতাড়নের নির্দেশ দিয়েছে। ওই চারজনের কারও বিরুদ্ধেই অপরাধে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই।
যাঁদের জার্মানি থেকে বিতাড়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তিনজন ইউরোপীয় ও একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
চারজনই এ বছর জানুয়ারিতে ডাকযোগে প্রথম এ বিষয়ে চিঠি পান। ওই চিঠিতে তাঁদের স্বাধীনভাবে চলাচলের অধিকার হারানোর কথা জানানো হয়।
দুই মাস পর ওই চারজনের আইনজীবীরা তাঁদের মক্কেলের পক্ষে বার্লিনের অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিতাড়নের নির্দেশসংবলিত চিঠি পান। তাঁদের ২১ এপ্রিলের মধ্যে জার্মানি ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নতুবা তাঁদের জোর করে বিতাড়ন করা হবে।
ওই চার ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারী হলেন মার্কিন নাগরিক ২৭ বছর বয়সী কুপার লংবটম। তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। বাকি তিনজন হলেন পোল্যান্ডের নাগরিক ৩৫ বছরের কাসা ব্লেচেক এবং দুই আইরিশ নাগরিক শেন ও’ব্রায়ান (২৯) ও রবার্টা মারে (৩১)।
এই চারজনই বার্লিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।
এই চারজনের বিরুদ্ধে আনা একটি পুলিশি অভিযোগ আল–জাজিরা দেখেছে। ওই অভিযোগে জার্মান কর্তৃপক্ষ বলেছে, ওই চার ব্যক্তি ইহুদিবিদ্বেষ ছড়িয়েছেন এবং উসকানি দিয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগও করা হয়েছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়া, সম্পদের ক্ষতি করা এবং শান্তি বিঘ্নিত করার মতো অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগও আনা হয়েছে।
ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার হয়েছেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ডধারী। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন মার্কিন অভিবাসন আদালতের এক বিচারক।
আরও পড়ুনফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যেতে পারে বলে বিচারকের মত১২ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়৩০ এপ্রিল ২০২৪