মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে সরকার
Published: 24th, March 2025 GMT
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, ২৬ মার্চ ঢাকাসহ সারা দেশে প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো.
এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এ ছাড়া জেলা ও উপজেলার স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনা আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।
ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি থাকবে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা বাণী দেবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্র বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়া মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ফুটবল, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট, কাবাডি, হাডুডু ইত্যাদি খেলার আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে।
দেশের সব শিশুপার্ক ও জাদুঘর বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো এদিন সকাল ৯টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও উপজ ল পর য য় দ বসট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের ভাড়া কমল ২০ শতাংশ
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রেলপথে ভ্রমণে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। মূলত ঈদের তিন দিনে সারাদেশে চলমান সব ট্রেনের ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে পাকিস্তান রেলওয়ে। শনিবার (২২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনে সারাদেশে সব ট্রেনের ভাড়ায় ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান রেলওয়ে। আগামী ৩১ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত টিকিট কাউন্টারগুলোতে এই ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব যাত্রী আগাম টিকিট বুকিং করবেন, তারাও এ সুবিধা পাবেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনে পাকিস্তান রেলওয়ের ইকোনমি ক্লাস, এসি পার্লার, এসি স্লিপার, এসি বিজনেস এবং এসি স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসে ভ্রমণের সময় ২০ শতাংশ ছাড় উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা। এই ছাড় সব মেইল এক্সপ্রেস, যাত্রীবাহী এবং আন্ত নগর ট্রেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
আরো পড়ুন:
হাসানের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে কিউইদের উড়িয়ে দিল পাকিস্তান
তরুণদের প্রতি আস্থা রাখার আকুতি রাউফের
তবে ঈদ উপলক্ষে চালানো বিশেষ ট্রেনগুলোতে এই ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে না।
পাকিস্তান রেলওয়ের সাতটি বিভাগের বিভাগীয় সুপারিনটেনডেন্ট এবং বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
প্রতি বছর লাখ লাখ পাকিস্তানি পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের জন্য দূর-দূরান্তের শহর ও বিদেশ থেকে বিমান, ট্রেন, বাসে তাদের নিজ শহরে যাতায়াত করেন। পাকিস্তান রেলওয়ে যাত্রীদের সুবিধার্থে উভয় ঈদেই বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করে।
ঢাকা/ফিরোজ