ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত ঠাকুরগাঁও জেলার সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ঠাকুরগাঁও সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা’–এর নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার মানিক মুনতাসির সভাপতি ও সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার দেলওয়ার হোসেন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার রাজধানীর বাংলামোটরে রুপায়ন ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত একটি ক্লাবে সংগঠনের সাধারণ সভা ও ইফতার মাহফিল শেষে ১১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন এই কমিটি ঘোষণা করা হয়। দুই বছরের জন্য ঘোষিত কমিটির নির্বাচিত অন্যরা হলেন-সহসভাপতি সময় টেলিভিশনের মাহবুব আলম রাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কালবেলার সিনিয়র রিপোর্টার শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ৭১ টেলিভিশনের আব্দুল লতিফ, অর্থ সম্পাদক বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার সম্পাদক জিটিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাজ্জাদ হোসেন ও নারী বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ বেতারের নাহিদ শিউলী।

কার্যনির্বাহী সদস্যরা হলেন-ইনকিলাবের প্রধান প্রতিবেদক ফারুক হোসাইন, ডিবিসির আরবী নূর আপন ও ৭১ টেলিভিশনের নূর তাজমিন নীর। সংগঠনের উপদেষ্টা মনোনীত হয়েছেন, সিনিয়র সাংবাদিক মশিউর রহমান, প্রথম আলোর সারা বাংলার প্রধান তুহিন সাইফুল্লাহ ও ঢাকা পোস্টের সিনিয়র নিউজ এডিটর মাহাবুর আলম সোহাগ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা কমিশনের অতিরিক্ত সচিব বদরে মুনির ফেরদৌস, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম, ঢাকা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এসএন, মো.

নজরুল ইসলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব তৌফিক ইমাম ও নিউ ভিশন গ্রুপের ইসি চেয়ারম্যান বেলাল হোসাইন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঠ ক রগ ও

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, চবির কর্মচারী এমরান বরখাস্ত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যলয়ে (চবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ প্রার্থী থেকে ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যায়লের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মঙ্গলবার এই তথ্য জানানো হয়।

অভিযুক্ত ওই কর্মচারীর নাম এমরান হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের জেনারেল শাখার নিম্নমান সহাকারী। তাকে বহিষ্কার করে অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসের জেনারেল শাখায় কর্মরত নিম্নমান সহকারী জনাব মো. এমরান হোসেনের বিরুদ্ধে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে ১৫ জনকে চাকরি দেয়ার নামে ৫৮০০০০০/-(আটান্ন লাখ) টাকা গ্রহণ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী (দক্ষতা ও শৃংখলা) সংবিধির ১৫(বি) ধারা অনুসারে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।' সাময়িক বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যায়লের নিয়মানুযায়ী ভাতা পাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন। তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘নিয়োগ নিয়ে সম্প্রতি একটি চক্র হয়েছে। তারা বিভিন্নজনকে চাকরি দেবে বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে টাকার দাবি করেছেন। এ বিষয়গুলো জানার পর আমরা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করি।’

বার্তায় উপ–উপাচার্য  মো. এমরানকে নিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী এমরান এর আগেও চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেক প্রার্থী থেকে অর্থ নিয়েছেন। কিন্তু কোনো প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা তাকে ধরেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছি। এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই আমরা সহ্য করব না। কেউ যদি এমন প্রতারণার শিকার হন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ