জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হার্ট অ্যাটাকের খবর শুনে স্তব্ধ পুরো ক্রিকেটাঙ্গন। সতীর্থদের চোখে-মুখে উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট, সবাই প্রার্থনায় মগ্ন প্রিয় ‘তামিম ভাই’-এর দ্রুত সুস্থতার জন্য।

আজ সাভারের বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে টস করে ড্রেসিংরুমে ফেরার পরেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এরপর দ্রুতই তাকে সাভারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে।

তামিমের এমন পরিস্থিতিতে দোয়ার হাত তুলেছেন বর্তমান জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটার। পেসার তাসকিন আহমেদ ফেসবুকে লেখেন, ‘তামিম ইকবাল ভাই বিকেএসপিতে ম্যাচ চলাকালীন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। এই কঠিন সময় সবাই তার জন্য দোয়া করুন। আল্লাহ যেন তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।’

অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ লিখেছেন, ‘তামিম ভাই, আপনার দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার প্রত্যাশা করছি। আমাদের সকলের দোয়া ও শুভকামনা আপনার সাথে আছে।’

উইকেটকিপার-ব্যাটার লিটন দাস লেখেন, ‘তামিম ভাই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। আমাদের প্রার্থনা সবসময় আপনার সঙ্গে।’

আরেক বাঁহাতি ব্যাটার সৌম্য সরকার লিখেছেন, ‘দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি তামিম ভাইয়া।’

পেসার শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘তামিম ভাই, আমরা আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। সবাই মিলে দোয়া করি, আপনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।’

এদিকে তামিমের সবশেষ অবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল-ক্লিনিক শাখা) ডা.

আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান জানান, তিনি (তামিম ইকবাল) একিউট এমআই বা হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন, যার ফলে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। প্রাথমিকভাবে প্রাইমারি পিসিআই করা হয় এবং এলসিএক্স নামের ধমনীতে ব্লক ধরা পড়ে। তাই জরুরিভিত্তিতে সেখানে স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্লকেজ কমে গিয়ে হার্টে রক্তপ্রবাহ বাড়ে, যা তাকে দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ত ম ম ইকব ল স স থ হয় আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন রাষ্ট্রপতি

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৭১ এর শহীদ বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বুধবার ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপতির পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধা জানান। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টার নেতৃত্বে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। 

এরপর একে একে বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক–সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ