নবম গ্রেডের দাবিতে ঝিনাইদহে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের স্মারকলিপি
Published: 24th, March 2025 GMT
ঝিনাইদহে দশম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি করেছেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসাররা। সোমবার সকালে শহরের পিটিআই চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। সেখান থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয় র্যালিটি।
পরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর ও পরে দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
এসময় বাংলাদেশ সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার অ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার সভাপতি মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মিঠুন দাস, উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.
কর্মসূচি শেষে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রেডে কর্মরত থাকায় পেশাগতভাবে অবহেলিত ও হতাশ আমরা। অন্যদিকে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ কার্যক্রম চলমান। এতে করে একই বিভাগে দুটি পদ দশম গ্রেড হলে মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা বাস্তবায়নে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই দায়িত্ব ও অভিজ্ঞতার নিরিখে মবম গ্রেডে উন্নীত হওয়া আমাদের ন্যায্য অধিকার। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই।
উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহনাজ পারভীন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন একই গ্রেডে চাকরি করছি। গ্রেড উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই নবম গ্রেড আমাদের ন্যায্য দাবি। আমরা চাই প্রধান উপদেষ্টা আমাদের দাবি বিশেষভাবে বিবেচনা করবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ স ম রকল প অফ স র সহক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিরঝিলে নানা আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটার এবং এর সংলগ্ন এলাকায় আগামীকাল অনুষ্ঠিতব্য বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম।
রোববার সন্ধ্যায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য বৈশাখী মেলার সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার জন্য ও বাঙালি জাতির প্রাণের এই উৎসবকে রাজধানীবাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ বছর নানাবিধ আয়োজন করেছে রাজউক। পুরোনো বছরকে বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ব্রেইন থিওরি নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় রাজউক এর তত্ত্বাবধানে আয়োজন করা হয়েছে ২ দিন ব্যাপী এই চৈত্র সংক্রান্তি ও বর্ষবরণ উৎসব। রাজউক চেয়ারম্যান জনাব রিয়াজুল ইসলাম আজ সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন এবং এই আয়োজনকে উৎসব মুখর করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
বর্ষবরণের এই উৎসব আয়োজনে হাতিরঝিল এম্ফিথিয়েটার এলাকায় থাকছে ঐতিহ্যবাহী খাবার ও নানাবিধ জিনিসের বিভিন্ন স্টল, শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদনের জন্য কিডস জোনসহ বিভিন্ন চিত্তাকর্ষক রাইড যার মধ্যে রয়েছে নাগরদোলা, মেরি গো রাউন্ড, লম্ফ জম্ফ ইত্যাদি। এছাড়াও থাকছে শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সকলের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেলা পরিদর্শনকালে রাজউক চেয়ারম্যান প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন এবং রাইডসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ গুরত্বারোপ করেন। মেলায় আগতদের সাথে রাজউক চেয়ারম্যান কথা বলেন। হাতিরঝিল এলাকায় এ ধরনের আয়োজনে দর্শনার্থীরা তাদের আনন্দের কথা এবং মেলা ভ্রমণকালে তাদের সুবিধা অসুবিধাসমূহ তাকে অবহিত করেন।
এসময় মেলা প্রাঙ্গণে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের প্যাকেট ও অন্যান্য আবর্জনা নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
এছাড়াও মেলার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে তিনি দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানোর পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন।
প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব এই পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নিতে দেশবাসীর সাথে আমরাও প্রস্তুত আছি। অনাবিল আনন্দের মধ্য দিয়ে আমরা আগামীকালের উৎসব পালন করব। রাজধানীবাসী যেন নিশ্চিন্তে আনন্দঘন পরিবেশে এই উৎসব পালন করতে পারে, তার জন্য রাজউক সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এ বছর আমরা ঢাকাবাসীর কাছে অন্যরকম একটি আয়োজন পৌঁছে দিব।
এসময় তিনি রাজধানীসহ সমগ্র দেশবাসীর প্রতি নববর্ষের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন এবং সকলে সপরিবারে এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। রাজউক চেয়ারম্যান আগামীকাল বিকেল ৪:০০ ঘটিকায় বৈশাখী মেলায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের সাথে বৈশাখের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিবেন এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করবেন।
মেলা পরিদর্শনকালে মেলা প্রাঙ্গণে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, মেলা আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফরিদ আহমেদসহ মেলার আয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।