রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয় বরং  তারা দেশের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব পালন করবে।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে নিজেদের (এনসিপি) মধ্যে কোনো মতানৈক্য নেই। এ সময় তিনি ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ বা অন্য যে কোনো নামে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার গল্প যাতে কেউ না শোনায় এ আহ্বান জানান।

গুজবকে ব্যাধি উল্লেখ করে তরুণ এ নেতা বলেন, গুজববিরোধী সেল তৈরির জন্য সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি জনগনকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। দুপুরে ও বিকেলে পঞ্চগড় জেলায় পাঁচ উপজেলায় পথসভা করার কথা রয়েছে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প জ ত য় ন গর ক প র ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাফিনিয়াকে কথা কম বলতে বললেন ওতামেন্দি

ম্যাচের আগে অনেকটা আগুন জ্বালিয়েছেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। আর্জেন্টিনাকে মাঠ ও মাঠের বাইরে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন এই বার্সেলোনা তারকা। এমন কথা বললে কী আর পরিস্থিতি শান্ত থাকে! থাকেওনি।

ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে ৪-১ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে রাফিনিয়াকে কথা কম বলতে বলেছেন নিকোলাস ওতামেন্দি। পুরো ম্যাচে রাফিনিয়াকে শুনতে হয়েছে দুয়োধ্বনি।

মারাকানায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি এমনিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রেখেছিল। সেদিন আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকেরা দুয়ো দিতে শুরু করলে দাঙ্গা বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রাজিলের পুলিশ আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা করে। আর্জেন্টাইনরাও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গ্যালারির চেয়ার ছুড়ে মারেন। নজিরবিহীন এ সংঘাতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছিলেন।

মারাকানায় মার খাওয়ায় তেতে ছিলেন আর্জেন্টাইনরা। ওই ঘটনার পর এটিই আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের এটাই প্রথম ম্যাচ। সঙ্গে ম্যাচের আগে রাফিনায়ার এমন কথা। রাগ ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলার জন্য আর্জেন্টাইনরা আসলে সুযোগ খুঁজছিলেন। সেটিই আসে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে রাফিনিয়া তালিয়াফিকোকে ফাউল করলে। ওতামেন্দি, পারদেস, রদ্রিগো ডি পলরা রাফিনিয়ার দিকে তেড়ে যান। তখনই রাফিনিয়াকে ওতামেন্দি বলেছেন, ‘কথা কম বলো’।

রাফিনিয়ার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি আর্জেন্টাইন সমর্থকেরাও। ম্যাচ শেষে টিওয়াইসি স্পোর্টস রাফিনায়ার মন্তব্য নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা রাফিনিয়াকে নিম্নমানের ভীত ফুটবলার বলেছেন। পুরো ম্যাচেও আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়োধ্বনি শুনেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ