সাবেক জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার বিকেএসপিতে চলমান ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থতার খবরের পরই প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার কথা বলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে।

নিজাম উদ্দিন জানান, অসুস্থতা অনুভবের পর তামিম ইকবালকে দ্রুত সাভারের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তার এনজিওগ্রাম করা হয়। বিসিবি নিয়মিত চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি জানান, তামিমের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব আপডেট নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সোমবার বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। ম্যাচ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত সাভারের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে নেওয়া হয়।

তামিম ইকবাল বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন ৭০টি টেস্ট, ২৪৩টি ওয়ানডে ও ৭৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দীর্ঘ ও সফল ক্যারিয়ারে তিনি জাতীয় দলের নেতৃত্বও দিয়েছেন বিভিন্ন সময়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

রাফিনিয়াকে কথা কম বলতে বললেন ওতামেন্দি

ম্যাচের আগে অনেকটা আগুন জ্বালিয়েছেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। আর্জেন্টিনাকে মাঠ ও মাঠের বাইরে গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন এই বার্সেলোনা তারকা। এমন কথা বললে কী আর পরিস্থিতি শান্ত থাকে! থাকেওনি।

ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে ৪-১ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে রাফিনিয়াকে কথা কম বলতে বলেছেন নিকোলাস ওতামেন্দি। পুরো ম্যাচে রাফিনিয়াকে শুনতে হয়েছে দুয়োধ্বনি।

মারাকানায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি এমনিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে রেখেছিল। সেদিন আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকেরা দুয়ো দিতে শুরু করলে দাঙ্গা বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্রাজিলের পুলিশ আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা করে। আর্জেন্টাইনরাও পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গ্যালারির চেয়ার ছুড়ে মারেন। নজিরবিহীন এ সংঘাতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছিলেন।

মারাকানায় মার খাওয়ায় তেতে ছিলেন আর্জেন্টাইনরা। ওই ঘটনার পর এটিই আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের এটাই প্রথম ম্যাচ। সঙ্গে ম্যাচের আগে রাফিনায়ার এমন কথা। রাগ ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলার জন্য আর্জেন্টাইনরা আসলে সুযোগ খুঁজছিলেন। সেটিই আসে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে রাফিনিয়া তালিয়াফিকোকে ফাউল করলে। ওতামেন্দি, পারদেস, রদ্রিগো ডি পলরা রাফিনিয়ার দিকে তেড়ে যান। তখনই রাফিনিয়াকে ওতামেন্দি বলেছেন, ‘কথা কম বলো’।

রাফিনিয়ার মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি আর্জেন্টাইন সমর্থকেরাও। ম্যাচ শেষে টিওয়াইসি স্পোর্টস রাফিনায়ার মন্তব্য নিয়ে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। আর্জেন্টাইন সমর্থকেরা রাফিনিয়াকে নিম্নমানের ভীত ফুটবলার বলেছেন। পুরো ম্যাচেও আর্জেন্টাইন সমর্থকদের কাছ থেকে দুয়োধ্বনি শুনেছেন এই ব্রাজিলিয়ান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ