রিমান্ডে পলক, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার কামরুল-কামাল-আতিক
Published: 24th, March 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে সিএনজিচালক ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়াও যাত্রাবাড়ী থানার সাজেদুর রহমান ওমর ও জাহাঙ্গীর আলম হত্যার ঘটনায় করা পৃথক দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকে কাফরুল থানার তরিকুল ইসলাম রুবেল হত্যা মামলায় এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও কামরুল ইসলামকে বাড্ডা থানার সাজিদ হাওলাদার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.
এর আগে মামলার শুনানির জন্য তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর কামরুল ইসলাম, কামাল আহমেদ মজুমদার, আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা। অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও এন্টিটেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক জাফর আল বিশ্বাস জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। যাত্রাবাড়ীর পৃথক আরও দুই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনও করা হয়।
পরে এসব মামলার শুনানি হয়। প্রথমে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে জুনাইদ আহমেদ পলকের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আদালতে তিনি বলেন, ‘এ আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যাত্রাবাড়ী থানায় করা ওবায়দুল ইসলাম হত্যা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।’
পলকের পক্ষে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি ও তরিকুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ওবায়দুল হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট দুপুরে যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা ফ্লাইওভারের কাছে গুলিবিদ্ধন হন ওবায়দুল ইসলাম। এরপর মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মরিয়ম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৯ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে গত ৮ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল ইসল ম জ র কর আহম দ পলক র
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসক জানালেন, তামিমের জটিলতা এখনো কাটেনি
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ক্রিকেটার তামিম ইকবালের অবস্থা এখনো জটিল। আজ বিকেএসপিতে মোহামেডানের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে গিয়ে বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এরপর তাকে পাশেই ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হার্টে ব্লক ধরা পড়ার পর রিং পরানো হলেও এখনো জটিলতা এখনো কাটেনি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির মেডিকেল ডিরেক্টর রাজিব।
তামিমের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘যতগুলো চিকিৎসা প্রয়োজন, সবকিছু করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কন্ডিশনটা অনুকূলে আছে। ওনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য একটা এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি এবং স্টেন্ট করা হয়েছে। এটা খুব স্মুথলি এবং এফিশিয়েন্টলি হয়েছে। ওনার এই ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন।’
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সকালে শাইনপুকুরের বিপক্ষে টস করেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম। এরপর অসুস্থ অনুভব করলে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে আনলে ব্লক ধরা পড়ে। ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে তাঁর ব্লক সরানো হয়।
তবে এখনো পুরোপুরি জটিলতা কাটেনি বলে জানান ডাক্তার রাজিব, ‘একটু ক্রিটিক্যাল কন্ডিশনে ছিল। স্টেন্ট পরও তিনি অবজারভেশনে আছেন। এবং ক্রিটিক্যাল কন্ডিশন এখনো কাটেনি, একটু সময় লাগবে।’
তবে সবার কাছে দোয়া চেয়ে তামিমকে নিয়ে আশার কথাও শুনিয়েছেন তিনি, ‘আমরা আশাবাদী তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারবেন।’
তামিমের অসুস্থতার খবরে আজ বিসিবির পরিচালকদের সভা স্থগিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ছুটে গেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ ও অন্যান্য পরিচালকরা। হাসপাতালে আছেন তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকী ও ভাই নাফিস ইকবাল।