ময়মনসিংহে কারাফটক থেকে তৃতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার সাবেক প্যানেল মেয়র
Published: 24th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ওরফে ডনকে কারাফটক থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁকে তৃতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, কারাফটক থেকে বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় আসিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসিফ হোসেন মুক্তি পেলেও কারাফটকেই অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হন।
পুলিশ জানায়, আসিফ হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৯ জুলাই রেদোয়ান হোসেনকে (সাগর) হত্যা, বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনের মামলার আসামি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। ২৫ অক্টোবর রাতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরার আজমপুর এলাকা থেকে আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্ত হন। ২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তাঁকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ময়মনসিংহ নগরের পাটগুদাম সেতু এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। পরে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ক র ফটক
এছাড়াও পড়ুন:
রামগতিতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
রামগতির ঘটনায় জানা গেছে, ওই গহবধূ সাহ্রির পর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের পাশের টয়লেটে যান। আসার পথে দু’পাশ থেকে অপরিচিত দুই ব্যক্তি তাঁকে জাপটে ধরে পাশের নির্জন পুকুরপাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই নারী। জ্ঞান ফেরার পর চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাঁকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তাঁর বাড়ি সিলেট জেলায়। বছর দুয়েক আগে চরগাজী ইউনিয়নের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়। এক সন্তানসহ ভালোভাবে সংসার চলছে। বিয়ের দুই মাস পর একদিন পাশের গ্রামে স্বামীর বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। সেখানে ননদের জামাই জামাল আহমেদ তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। পারিবারিকভাবে এর প্রতিবাদ করলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েক মাস পর বাড়িতে এসে তাঁকে ধর্ষণ করে চলে যায় প্রভাবশালী জামাল। এ ঘটনার বিচার দাবি করলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সালিশ বৈঠক হতে দেয়নি ধর্ষক।
ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা একাধিক নারী জানান, গৃহবধূর চিৎকার শুনে আমরা এগিয়ে আসি। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। রামগতি থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী নারী থানায় অভিযোগ করেছেন। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ময়মনসিংহের নান্দাইলের রাজগাতী ইউনিয়নে গত শুক্রবার ধর্ষণের শিকার শিশুটি হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বড়াইল গ্রামে তারাবির নামাজ পড়তে গেলে স্থানীয় ফারুক মিয়ার ছেলে আরিয়ান আহমেদ শাওন শিশুটিকে ধর্ষণ করে। গুরুতর অবস্থায় এখন সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার নান্দাইল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন শাওনকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।