Risingbd:
2025-04-16@17:03:14 GMT

ভুল সবসময়ই ভুল: নুসরাত ফারিয়া

Published: 24th, March 2025 GMT

ভুল সবসময়ই ভুল: নুসরাত ফারিয়া

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’-এ শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। সিনেমটিতে অভিনয়ের কিছুদিন পর এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন— “আমাদের প্রত্যেকটা বাঙালি মেয়ের মধ্যে একজন করে হাসিনা রয়েছেন।”

গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফারিয়ার পুরোনো এই মন্তব্য নিয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সমালোচনা শুরু হয়, তোপের মুখে পড়েন ফারিয়া। এতদিন চুপ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন এই নায়িকা।

সম্প্রতি একটি পডকাস্টে অতিথি হিসিবে উপস্থিত হন নুসরাত ফারিয়া। এ আলাপচারিতায় তার কাছে জানতে চাওয়া হয়― শেখ হাসিনা চরিত্রে অভিনয়ের কারণে অনুশোচনায় ভোগেন কিনা? উত্তরে ফারিয়া বলেন, “আমি বলতে চাই, এখানে অনুশোচনার মতো কিছু নেই। আমরা শিল্পীরা ভোর সাড়ে ৫টায় ঘুম থেকে উঠে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি। এর পেছনে অনেক শারীরিক পরিশ্রম হয়। বিশেষ করে এই সিনেমার জন্য ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল, এই পাঁচ বছর একই লুকে নিজেকে মেইনটেইন করেছি।”

আরো পড়ুন:

সুশান্তর মৃত্যু: নতুন প্রতিবেদনে রিয়ার স্বস্তি

রাকেশ পান্ডে মারা গেছেন

ব্যাখ্যা করে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “এই দীর্ঘ সময় চুলে কোনো রং করিনি, কালো চুল নিয়ে ঘুরেছি চরিত্রটির জন্য। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ শারীরিক ওজনের মধ্যে থাকতে হয়েছে। আমি বলতে চাই, এই সিনেমার (মুজিব: একটি জাতির রূপকার) জন্য জীবনের ৫টি বছর দিয়েছি। এ কারণে সেই কাজটি নিয়ে যদি এখন অনুশোচনা করি, তাহলে তো আমার পেশাকেই অপমান করা হবে।”

শেখ মুজিবের বায়োপিকে অভিনয় করার কারণে বিরূপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই ইঙ্গিত দিয়ে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “সিনেমাটির জন্য যে পরিস্থিতি আমি পার করেছি বা এখনো করছি, তা আমার ভাগ্যে লেখা ছিল বলে মনে করি। এটা খণ্ডানোর ক্ষমতা ছিল না আমার। একটি দেশের সরকারি পর্যায় থেকে কখনো কাজের প্রস্তাব আসলে, তা নিজের খুব একটা পছন্দ না হলেও না করা যায় না।”

ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকা জানতে চাওয়া হলে নুসরাত ফারিয়া বলেন, “আমি তখন কানাডায় কিছু শো করতে গিয়েছিলাম। ভুল সবসময়ই ভুল। আমার কাছে মনে হয়েছে, তখন ছাত্রদের পক্ষে পোস্ট করেছি। আমার সোশ্যাল মিডিয়া ঘুরলে সেটি দেখতে পাবেন।”

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে নুসরাত ফারিয়া অভিনীত ‘জ্বীন-৩’ সিনেমা। ইতোমধ্যে সিনেমাটির ‘কন্যা’ গান প্রকাশিত হয়েছে। যা দর্শক-শ্রোতা থেকে শোবিজ তারকাসহ সর্বত্র ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যতিক্রমী একাডেমিক ক্যালেন্ডারে সেশনজট মুক্ত খুবি

ভর্তি পরীক্ষা তুমুল প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শুরু হয় স্বপ্নের পথচলা। কিন্তু সেই স্বপ্ন সেশনজটের কবলে পড়ে অনেক সময়ই রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সেশনজট শুধু একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনেই বিঘ্ন ঘটায় না, বরং এর প্রভাব পড়ে তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও আর্থ-সামাজিক জীবনেও।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষা জীবন শেষ না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করতে দেরি করে ফেলেন। ফলে বাড়ে মানসিক চাপ, আর্থিক অসন্তোষ, এমনকি আত্মহননের মতো চূড়ান্ত পরিণতির দিকেও ঠেলে দেয় অনেককে। 

তবে এ বাস্তবতায় এক ভিন্নচিত্র খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি)। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে সেশনজটে নাকাল, সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সময়মতো শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের কাছে এক স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান।
 
২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যেখানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের একাডেমিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক করতে পারেনি, সেখানে খুবি নির্ধারিত সময়ে মধ্যেই তার একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সব কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এর পেছনে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুপরিকল্পিত ও বাস্তবভিত্তিক কেন্দ্রীয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার।

আরো পড়ুন:

খুবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু বৃহস্পতিবার

হল না খোলায় ক্যাম্পাসে অবস্থানের ঘোষণা কুয়েট শিক্ষার্থীদের

প্রতিটি ডিসিপ্লিন সে ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে নির্ধারিত সময়েই ক্লাস, পরীক্ষা সম্পন্ন করছে। এই পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল একাডেমিক ক্যালেন্ডার শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বরং দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার জন্যও একটি রোল মডেল হয়ে উঠেছে।

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ছাত্র রাজনীতির কারণে একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়। সেখানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। এই নীতিমালাও একাডেমিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।


প্রিন্ট মেকিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী খাইরুন নাহার বলেন, “বাংলাদেশে সময় নষ্ট করাটা যেন শিক্ষা জীবনের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝেছি, সময়ের মধ্যে থেকে স্নাতক শেষ করাও সম্ভব। এটা আমার জীবনের গতি বদলে দিয়েছে।”

বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমার পরিবার সবসময় ভেবেছে আমি কত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটাব। কিন্তু এখানে এসে দেখেছি সময়মতোই সব শেষ হয়। পরিবারের দুশ্চিন্তাও কমেছে।”

সয়েল, ওয়াটার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী মালাচেং রাখাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার আগে সেশনজট নিয়ে অনেক ভয় ছিল। কিন্তু এখানে এসে বুঝেছি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার বাস্তবেই কার্যকর।”

বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী তান্না তাবরিজ জিমহা বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট সময়েই সব কোর্স শেষ করতে পারি। এতে করে স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্যও বাড়তি সময় পাওয়া যায়, যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব কম হয়।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই কেন্দ্রীয়ভাবে একাডেমিক ক্যালেন্ডার পরিচালনা করে। কোনো ডিসিপ্লিন আলাদা করে নিজের মতো করে সময় নির্ধারণ করতে পারে না। ফলে সার্বিক একাডেমিক কার্যক্রমে সুশৃঙ্খলতা বজায় থাকে।”

তিনি বলেন, “আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য সেশনজটমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে চেয়েছি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ে স্নাতক সম্পন্ন করতে পারে এবং কর্মজীবনে দ্রুত প্রবেশ করতে পারে। এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে সমাজ ও পরিবারেও।” 

ঢাকা/হাসিব/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ