৪৩ বছর আগে এই দিনে সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন জেনারেল এরশাদ। কী ছিল সামরিক শাসন জারির প্রেক্ষাপট। আর সেই প্রেক্ষাপটটি তৈরি হয়েছিল কীভাবে—তারই বিবরণ এই প্রতিবেদনে

মন্ত্রীর বাড়ি থেকে সন্ত্রাসী ইমদু গ্রেপ্তার

১৯৮২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। তখন ক্ষমতায় বিএনপি সরকার। ওই দিন যুব প্রতিমন্ত্রী আবুল কাশেমের বাসা থেকে আটক করা হয় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইমদাদুল হক ইমদুকে। মিন্টো রোডের মন্ত্রীর বাসা থেকে ইমদুকে আটক করা হয়েছিল বিশাল আয়োজন করে। রীতিমতো যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। কালীগঞ্জের ইমদু যুবদল করতেন। তিনি যখন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে আটক হন, তখন নতুন রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবদুস সাত্তার। সেই ঘটনার তিন দিন পরে ১১ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলে পুরো মন্ত্রিসভা বাতিল করেন তিনি। এর প্রায় দেড় মাসের মধ্যে ক্ষমতা দখল করে সামরিক শাসন জারি করেন জেনারেল এরশাদ।

আরও পড়ুনমন্ত্রীর বাড়িতে খুনি: যে ঘটনা ছিল এরশাদের সামরিক শাসনের উপলক্ষ২৪ মার্চ ২০২৩ইমদাদুল হক ইমদু.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন ত র র ব ড় ক ষমত এরশ দ

এছাড়াও পড়ুন:

সংসদের মেয়াদ ও জরুরি অবস্থা ঘোষণার সুপারিশ বিষয়ে দ্বিমত বিএনপির

কেবল জাতীয় সাংবিধানিক কমিশনের (এনসিসি) সিদ্ধান্তক্রমে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন, সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন সুপারিশের সঙ্গে একমত হয়নি বিএনপি। দলটি বলেছে, জরুরি অবস্থা জারির সঙ্গে সরকারের নির্বাহী কর্তৃত্বের বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত বিধায় এ–সংক্রান্ত ক্ষমতা সরকার ও সংসদের বাইরে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে থাকা সংগত নয়।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশে আরও বলা হয়, জরুরি অবস্থার সময় নাগরিকদের কোনো অধিকার রদ বা স্থগিত করা যাবে না এবং আদালতে যাওয়ার অধিকার বন্ধ বা স্থগিত করা যাবে না। তাই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪১(খ) এবং অনুচ্ছেদ ১৪১(গ) বাতিল হবে। এই প্রস্তাবের সঙ্গেও একমত নয় বিএনপি। দলটির মত, নাগরিকদের কোনো অধিকার রদ বা স্থগিত না করে জরুরি অবস্থা জারির কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে, প্রস্তাবিত সুপারিশে তা বোধগম্য নয়।

গত রোববার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দেওয়া সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর বিএনপি এই মতামত তুলে ধরেছে। সেখানে বিএনপির দেওয়া মতামতগুলো পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই দিন বিএনপি সংবিধানসহ পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপরও বিস্তারিত মতামত জমা দেয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের ওপর দেওয়া মতামতে বিএনপি জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। সংস্কার কমিশনের সংসদের মেয়াদ চার বছর করার সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সংসদ নেতা হতে পারবেন না বলে সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলেছে, এটি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়।

এ বিষয়ে বিএনপির ব্যাখ্যা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী দলের প্রধান অথবা সংসদ নেতার পদে কোনো এক বা একাধিক ব্যক্তি অধিষ্ঠিত হবেন কি না, তা একান্তই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত হওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সাংবিধানিকভাবে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ সংসদীয় গণতন্ত্রের মূল চেতনার পরিপন্থী।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ তিন মাসের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস করার প্রস্তাব করেছে। এ সময়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করা হয়েছে।

এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিএনপি বলেছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবস্থা। জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনা সাংবিধানিক বিধান। তাই এ ক্ষেত্রে অতীতের মতো ৯০ দিন মেয়াদেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই সরকারের প্রধান দায়িত্ব একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। এই সময়ে শুধু জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা আবশ্যক, অন্য কোনো নির্বাচন নয়। সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর বিএনপির মতামত পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর চায় না দলটি। আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হওয়ার বিধানের সঙ্গেও একমত নয় তারা।

তবে সংসদের দুজন ডেপুটি স্পিকারের মধ্যে একজন বিরোধী দল থেকে মনোনীত করার প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত। একই সঙ্গে সংসদের উচ্চকক্ষের একমাত্র ডেপুটি স্পিকার সরকারি দলের বাইরে থেকে নির্বাচিত হোক সেটা চায় বিএনপি।
এ ছাড়া দ্বিকক্ষবিশিষ্ট একটি আইনসভার বিষয়ে নীতিগতভাবে দলটি একমত। তবে উভয় কক্ষের (উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ) মেয়াদ চার বছর করার যে সুপারিশ করা হয়েছে, সেখানে মেয়াদ পাঁচ বছর হওয়া সমীচীন হবে মনে করে বিএনপি।

প্রস্তাবে সংবিধান সংশোধনী অংশে সংবিধানের যেকোনো সংশোধনী উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুমোদন এবং গণভোটে করার কথা বলা হয়েছে। এর সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। দলটি বলেছে, সংবিধানের সকল সংশোধনী গণভোটে উপস্থাপন বাস্তবসম্মত নয়। এ ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ ১৪২ কে পঞ্চদশ সংশোধনীপূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াই যথেষ্ট। নিম্নকক্ষে পাস হওয়া বিল উচ্চকক্ষের সুপারিশসহ কিংবা সুপারিশ ব্যতিরেকে পুনর্বিবেচনার জন্য নিম্নকক্ষে ফেরত পাঠাতে পারবে, এরূপ বিধান করা যেতে পারে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে নির্বাচিত সংসদ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ওই সংস্কার বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

প্রস্তাবে রাষ্ট্রপতি অংশে বলা আছে, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ হবে চার বছর। রাষ্ট্রপতি সর্বোচ্চ দুবারের বেশি অধিষ্ঠিত থাকবেন না। এই প্রস্তাবনার সঙ্গে একমত না হয়ে বিএনপি বলেছে, রাষ্ট্রপতির মেয়াদ পাঁচ বছর হওয়া সমীচীন হবে। বিদ্যমান সংবিধানে সর্বোচ্চ দুবারের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত না থাকার বিধান (অনুচ্ছপদ ৫০ (২)) থাকায় এ–সক্রান্ত সুপারিশ অপ্রয়োজনীয়।

প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী অংশে বলা হয়েছে, আইনসভার নিম্নকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হবে। এর সঙ্গে দ্বিমত জানিয়ে বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী পদে কোনো নির্বাচন হয় না বিধায় মনোনয়নের প্রশ্নটি অবান্তর।

প্রধানমন্ত্রী অংশে আরও বলা হয়েছে, আইনসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বে যদি কখনো প্রধানমন্ত্রী স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন বা আস্থা ভোটে হেরে যান কিংবা অন্য কোনো কারণে রাষ্ট্রপতিকে আইনসভা ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেন, সে ক্ষেত্রে যদি রাষ্ট্রপতির নিকট এটা প্রতীয়মান হয় যে নিম্নকক্ষের অন্য কোনো সদস্য সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে, তবেই রাষ্ট্রপতি আইনসভার উভয় কক্ষ ভেঙে দেবেন। সংবিধান সংস্কার কমিশনের এই সুপারিশের সঙ্গে একমত নয় বিএনপি।

এখানে বিএনপি বলেছে, প্রস্তাবিত সুপারিশ অপ্রয়োজনীয়। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৭(২) এ সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন হারাইলে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিবেন কিংবা সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবার জন্য লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শদান করিবেন এবং তিনি অনুরূপ পরামর্শদান করিলে রাষ্ট্রপতি, অন্য কোনো সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থভাজন নহেন—এই মর্মে সন্তুষ্ট হইলে, সংসদ ভাঙ্গিয়া দিবেন।’

প্রস্তাবের এ অংশে আরও বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সর্বোচ্চ দুবার দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিনি একাধিক্রমে অথবা অন্য যেকোনো উপায়ে দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হতে পারবেন না। এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ–সংক্রান্ত বিষয়ে ‘কোনো ব্যক্তি একাধিক্রমে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না’—এরূপ বিধান করাই যথেষ্ট।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বিচার বিভাগের সুপ্রিম কোর্ট অংশে দেশের সব বিভাগে হাইকোর্ট বিভাগের সমান এখতিয়ারসম্পন্ন হাইকোর্টের স্থায়ী আসন প্রবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আসন রাজধানীতেই থাকবে। সব বিভাগে হাইকোর্টের স্থায়ী আসন প্রবর্তনের বিষয়ে একমত নয় বিএনপি। দলটি বলেছে, দেশের সব বিভাগে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী আসন সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় এটা করার সুযোগ নেই। বিকল্প হিসেবে ঢাকার বাইরে অনুচ্ছেদ ১০০–এর অধীনে হাইকোর্ট বিভাগের সার্কিট বেঞ্চ স্থাপন করা যেতে পারে।

সুপারিশে আপিল বিভাগের বিচারকদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ জ্যেষ্ঠ বিচারককে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়াকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের একটি বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। বিএনপি এই প্রস্তাবের সঙ্গে আংশিক একমত। দলটি তাদের মতামতে বলেছে, ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ বিবেচনায় রেখে প্রবীণতম তিনজন বিচারকের মধ্য থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা যেতে পারে।

স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস অংশে সংবিধানের অধীন একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর সঙ্গে একমত নয় বিএনপি। দলটি বলেছে, স্থায়ী প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও তা আইনের মাধ্যমে ও পর্যায়ক্রমে হওয়া সমীচীন।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সংবিধানের মূলনীতি অংশে বলা হয়েছে, কমিশন নিম্নোক্ত বিধান অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করছে। ‘বাংলাদেশ একটি বহুত্ববাদী, বহু-জাতি, বহুধর্মী, বহুভাষী ও বহু সংস্কৃতির দেশ, যেখানে সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে।’

অন্যদিকে রাষ্ট্রের মূলনীতি অংশে সংবিধানের মূলনীতি ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ এবং এ সংশ্লিষ্ট সংবিধানের ৮, ৯, ১০ ও ১২ অনুচ্ছেদগুলো বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। উভয় ক্ষেত্রে একমত নয় বিএনপি। দলটি দুই ক্ষেত্রেই বলেছে, অনুচ্ছেদ ৮, ৯, ১০ ও ১২-কে পঞ্চদশ সংশোধনীর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়াই অধিকতর যুক্তিযুক্ত।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপি দলীয়ভাবে সংবিধান নির্বাচন কমিশন জনপ্রশাসনসহ সব বিষয়ে পৃথক প্রস্তাব সংস্কার কমিশনে দিয়েছে। আমরা লক্ষ করেছি, বিএনপির অধিকাংশ প্রস্তাবই কমিশনের সুপারিশে প্রতিফলিত হয়নি। সে জন্য আমরা কমিশনের স্প্রেডশিটের পাশাপাশি সবিস্তারে মতামত জানিয়েছি এবং বিভ্রান্তি এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছি।’
দলীয় সংস্কার প্রস্তাব তৈরির সঙ্গে যুক্ত বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, সংবিধান সংশোধনের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য সংবিধান–সংক্রান্ত কোনো সংশোধন করতে হলে আগে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচিত সরকার সংসদে সেই সংশোধন আনবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ