ইসরায়েলি হামলায় গাজার নতুন প্রধানমন্ত্রী নিহত
Published: 24th, March 2025 GMT
ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নতুন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল বারহুম। এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে উপত্যকাটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
এর আগে, গত ১৮ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসকে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ইসমাইল বারহুম।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে গাজার ইউনিসের নাসের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই হামলাতেই ইসমাইল বারহুম ও অপর একজন নিহত হন। এ ঘটনায় আরো আটজন আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা নিহত
হামাসের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
ইসমাইল বারহুমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাস। তারা জানিয়েছে, নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ইসমাইল। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন।
দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “রবিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘সফলভাবে জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা ইসমাইল বারহুমকে নাসের হাসপাতালে হত্যা করেছে।”
তিনি বলেন, “ইসমাইল বারহুম ছিলেন গাজার হামাস সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তিনি কয়েক দিন আগে নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইশাম দা-লিসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।”
ইসমাইল বারহুমকে লক্ষ্য করে চালানো ইসরায়েলি হামলাটি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এবং বিবিসি অ্যারাবিকে ধরা পড়েছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আল জাজিরার সাংবাদিক নাসের হাসপাতালের সামনে থেকে লাইভ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঠিক তখন হঠাৎ করে মিসাইল সদৃশ্য কিছু একটা উড়ে এসে হাসপাতালটিতে আঘাত হানে। এরপরই সেখানে আগুন লেগে যায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য সুনির্দিষ্ট অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
এস আলম দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এক হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের নামে আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ দুদকের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামলা দুটি করেন। পরে কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা দুটি করা হয়েছে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ২৪ আগস্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলমের অবৈধ সম্পদের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
মামলায় সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে ভোগদখল করে আসছেন তিনি। এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান একজন পাবলিক সার্ভেন্ট। আয়কর নথি অনুযায়ী করবর্ষ ২০১০-১২ এর রিটার্ন দাখিলের আগ পর্যন্ত তাঁর আগের সঞ্চয় ছিল ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার ৭ টাকা।
২০১১-১২ থেকে ২০২৩-২০২৪ করবর্ষ পর্যন্ত অতীত সঞ্চয়সহ সাইফুল ইসলামের গ্রহণযোগ্য আয় ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৫ টাকা। এ সময় তাঁর মোট ব্যয় ৯৭ কোটি ৩২ লাখ ৭ হাজার ৯৪০ টাকা।
অনুসন্ধানে দুদক দেখতে পেয়েছে, সাইফুল আলম ৯৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৯৩ হাজার ৪৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যয়সহ তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১ হাজার ৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ৩৯৯ টাকা। গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৭৯৬ কোটি ২৮ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা।
অন্যদিকে, সাইফুল আলমের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ, তিনি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক ফারজানার স্থাবর-অস্থাবর, ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৭৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ১৩ টাকা। তাঁর অতীত সঞ্চয়সহ গ্রহণযোগ্য আয় ১৬ কোটি ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৫ টাকা। বাকি ৭৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৪৫৩ টাকার সম্পদের বৈধ কোনো উৎস নেই, যা তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীর নামে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সম্পদ রয়েছে। সিঙ্গাপুর, সাইপ্রাস, ব্রিটিশ ভার্জিনিয়া আইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশেও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে আয়কর নথিতে তা অন্তর্ভুক্ত না থাকায় এ সম্পদকে পাচার বলছে দুদক। বিদেশে সম্পদের বিস্তারিত তথ্য পাওয়ার ওপর নির্ভর করে মামলার তদন্তে তা যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।