দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু তার হারানো পদ ফিরে পেয়েছেন আদালতের রায়ে।

গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংসদে আইনপ্রণেতাদের ভোটে অভিশংসিত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর একই পরিণতি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সুরও। তারপর থেকে, দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী চোই সাং-মোক।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ সোমবার (২৪ মার্চ) দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর অভিশংসন বাতিল করে তাকে দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্বহাল করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। এর মাধ্যমে অভিশংসিত হওয়ার তিনমাস পর আবারও সেই পদে ফিরলেন তিনি।

আরো পড়ুন:

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক ড্রোন-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ

বেসামরিক এলাকায় ভুলবশত বোমা ফেলল দ.

কোরিয়ার যুদ্ধবিমান

প্রায় তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসনের পর পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সাম্প্রতিক অস্থির রাজনীতিতে সর্বশেষ বড় ঘটনা এটি।

আদালতের আদেশের পর হান ডাক-সু প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন ঘোষণার কারণে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল অভিশংসিত হয়েছিলেন।

আদালত রায় ঘোষণার পর হান বলেন, “আমি সাংবিধানিক আদালতকে তার বিজ্ঞ সিদ্ধান্তের জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমি সরকারকে শৃঙ্খলায় আনার জন্য কাজ করব।”

দক্ষিণ কোরিয়া একই আদালতের আরেকটি আসন্ন সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে- প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের বিষয়ে।

ইউনকে সংসদ কর্তৃক অভিশংসিত করা হয়েছিল এবং ১৪ ডিসেম্বর তার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল- তবে এই অভিশংসন কেবল সাংবিধানিক আদালত কর্তৃক পাস হলেই স্থায়ী হবে। যদি আদালত অভিশংসন বাতিল করে, তাহলে ইউন অবিলম্বে তার দায়িত্বে ফিরে আসবেন।

আদালতে ইউনের রায় ঘোষণার তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি পেলেন রেকর্ড ক্ষতিপূরণ

হত্যার অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার আগে প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের সাজা ভোগ করেছেন জাপানি নাগরিক আইয়াও হাকামাতা (৮৯)। তাঁকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২১৭ মিলিয়ন ইয়েন (১ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার) দেওয়া হবে। 

আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, এটি ফৌজদারি মামলায় দেশের সর্বকালের বৃহত্তম অর্থ প্রদান। ১৯৬৮ সালে হাকামাতাকে তাঁর বস, বসের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তানকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু পুনর্বিচারে গত বছর এই অভিযোগ থেকে খালাস পান তিনি। 

হাকামাতার আইনজীবীরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ চেয়ে যুক্তি দেন যে, তাদের মক্কেলকে ৪৭ বছর বিনা অভিযোগে জেলের পেছনে কাটাতে হয়েছে। যার জেরে হাকামাতা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হয়ে উঠেছেন। আলজাজিরা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ