‘পরিশুদ্ধ’ আওয়ামী লীগ নিয়ে বাইরে শোরগোল, তবে দলে আগ্রহ নেই
Published: 24th, March 2025 GMT
‘রিফাইন্ড’ বা ‘পরিশুদ্ধ’ আওয়ামী লীগের ধারণা নিয়ে দলটির ভেতরে কোনো আলোচনা নেই। নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার বিষয়েও কোনো চিন্তাভাবনার কথা জানা যায়নি। এ বিষয়ে দলটির পলাতক প্রধান নেতৃত্বের কোনো সায় আছে—এমন আভাসও পাওয়া যায়নি। ফলে আওয়ামী লীগের পরিশুদ্ধ অংশকে রাজনীতিতে ফেরানোর সম্ভাবনা নিয়ে যে আলোচনা বা শোরগোল চলছে, তা কতটা বাস্তবসম্মত, সেই প্রশ্নও দেখা দিয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তাঁর মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন দলের অনেক নেতা। এরপর অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে আওয়ামী লীগ ভুল স্বীকার করবে কি না, এমন একটা আলোচনা তৈরি হয়। কিন্তু উল্টো পথে হাঁটেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব। নিজেদের ভুল স্বীকার কিংবা অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য অনুশোচনা দেখাতে মোটেও প্রস্তুত নন দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব; বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার ও জুলাই আন্দোলনের নেতাদের সমালোচনায় যুক্ত হন তাঁরা। আওয়ামী লীগের মূল নেতৃত্বের মনোভাবে এখনো কোনো পরিবর্তন নেই বলে দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
আমাদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদের বলা হয়, ইতিমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা শর্ত সাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে। একটি বিরোধী দল থাকার চেয়ে একটি দুর্বল আওয়ামী লীগসহ একাধিক বিরোধী দল থাকা নাকি ভালো।হাসনাত আবদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল)আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, রিফাইন্ড বা পরিশুদ্ধ আওয়ামী লীগ কে করবে, সেটা বড় প্রশ্ন। দলের বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা নিজের পদ ছেড়ে কিংবা গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাদ দিয়ে দল পুনর্গঠন করবেন—এমন কোনো ইঙ্গিত দলটির নেতারা এখনো পাননি।
তবে কোনো কোনো নেতার ধারণা, শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে দেশের ভেতরে থাকা নেতাদের কারও উদ্যোগে দল পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা হলেও হতে পারে। তবে সম্প্রতি যেসব নেতার নাম আলোচনায় এসেছে, তাঁদের পক্ষে এটা কতটা সম্ভব বা তাঁদের উদ্যোগে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কতটা সাড়া দেবেন—সেই প্রশ্নও রয়েছে।
ছাত্র–জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর শ দ ধ প রস ত দলট র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাবির এক শিক্ষকে অব্যাহতি, অন্যজনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারুকলা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগের সভাপতি থাকাকালে তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষার বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে তদন্ত কমিটি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে পাঁচ বছর একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি পদোন্নতি ও বেতনের বার্ষিক প্রণোদনা স্থগিত করা হয়েছে। শাস্তি চলাকালে তিনি অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা বা কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুজন সেনের আচরণের নৈতিক স্খলন হিসেবে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন– সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম এবং ড. সুজন সেন মনোনীত একজন প্রতিনিধি।