গ্রাহকের বিমা দাবি পরিশোধে জমি বিক্রি করবে পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ইতিমধ্যে তারা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেয়েছে। কুমিল্লায় ২০ শতক জমি বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া দাবি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১২ মার্চ ২০২৫ তারিখে আইডিআরএর চিঠিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে ২০ জানুয়ারির পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় পদ্মা লাইফ।

আজ সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানিটি।

কুমিল্লা সদর থানার বাটাবাড়িয়া মৌজায় অবস্থিত এ জমির বিবরণ এ রকম—সিএস খতিয়ান নম্বর-৪, এসএ খতিয়ান নং-৯, বিআরএস খতিয়ান নং-৫৯, সিএস এবং এসএ প্লট নং-৫০/৪ এবং বিআরএস প্লট নং-৪৪০। মোট ২০ শতক জমি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দাবিদারদের পাওনা পরিশোধের জন্য তহবিল সংগ্রহ করবে পদ্মা লাইফ।

তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের জীবনবিমা তহবিলে বড় ধরনের ঘাটতি আছে। সেই ঘাটতি মেটাতেই কোম্পানিটি জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত এক বছরে পদ্মা লাইফের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩০ টাকা ৮০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৩ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটি গত কয়েক বছরে তেমন একটা লভ্যাংশও দেয়নি। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে পদ্মা ইসলামী লাইফ। ২০২০ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ হিসাববছরের জন্যও কোনো লভ্যাংশ পাননি কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৬ হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পদ্মা ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মোট ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক ৯৩ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৫১ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন ম দ পর শ ধ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে ছিল ন্যাশনাল ফিড মিল

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল ফিড মিল লিমিটেড ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই ২৪-সেপ্টেম্বর ২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, ওই প্রান্তিকে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে।

গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ২৪ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ৯ পয়সা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ১ পয়সা, গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ পয়সা।

বলা হয়েছে, জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানির রাজস্ব আয় অনেকটা কমে যাওয়ায় মুনাফা কমে গেছে। মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, তার ছাপ পড়েছে কোম্পানির মুনাফায়। সেই সঙ্গে জুলাই-আগস্ট সময়ে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অর্থনীতি বিপন্ন হয়েছে বলে মনে করে কোম্পানিটি।

গত এক বছরে ন্যাশনাল ফিড মিলের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৬ টাকা ৯০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৭ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটি গত কয়েক বছরে তেমন একটা মুনাফা দেয়নি। ২০২২ সালে তারা লভ্যাংশ দিয়েছে ১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে দিয়েছে ২ শতাংশ। এ ছাড়া ২০২১ সালে তারা স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ১ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ৮ শতাংশ।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১০ টাকা ৮৩ পয়সা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে ছিল ন্যাশনাল ফিড মিল