কারাগারে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইমামোগলু
Published: 24th, March 2025 GMT
ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে অবশেষে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে তুরস্কের এক আদালত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পথে নেমেছেন তুরস্কের হাজারো নাগরিক।
গতকাল রবিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত এমন সময় এলো যখন তাকে আটকের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে যাচ্ছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নেতা ও হাজারো বিক্ষোভকারী। তাদের মতে, এটি একটি রাজনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ।
আরো পড়ুন:
শেষ হচ্ছে পিকেকে-তুরস্কের ৪০ বছরের সংঘাত, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা
রাশিয়া-ইউক্রেন-যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনার জন্য তুরস্ক আদর্শ স্থান: এরদোগান
চার দিন আগে ইমামোগলুকে আটকের পর গতকাল রবিবার তাকে আদালতে তোলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে অন্যের ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড, টেন্ডারবাজী এবং অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনেন। এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
৫৩ বছর বয়সী একরেম ইমামোগলু তুরস্কের বিরোধী রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা এবং ইস্তাম্বুলের বর্তমান মেয়র। সাম্প্রতিক সময়ে ইমামোগলু নিজেকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা তার। তাকে এমন একদিন কারাগারে পাঠানো হয়েছে, যেদিন প্রেসিডেন্টপ্রার্থী হিসেবে তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল।
গত বুধবার ইস্তাম্বুলের এই মেয়রকে এক বিশেষ অভিযানে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার সমর্থকরা তুরস্কজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শুধু ইস্তাম্বুলেই তিন লাখেরও বেশি মানুষ প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল। এসব বিক্ষোভে ব্যাপক ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। এ পর্যন্ত তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তুরস্ক সরকার ২৬ মার্চ পর্যন্ত জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তার রাজনৈতিক দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) অভিযোগ, ইমামোগলু ও তার দল সিএইচপির সঙ্গে তুরস্কের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) গোপন আঁতাত রয়েছে। তবে ইমামোগলু এবং সিএইচপি এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।
হেফাজতে নেওয়ার আগে নেওয়ার আগে এক্স-এ এক পোস্টে ইমামোগলু লিখেছিলেন, “আমরা কঠিন নিপীড়নের মুখোমুখি হচ্ছি। কিন্তু আমি হার মানব না। আমি নিজেকে আমার জাতির কাছে সমর্পণ করছি।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত রস ক র জন ত ক ত রস ক র স এইচপ
এছাড়াও পড়ুন:
ডেনমার্ক ২০৪০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূল করতে চায়
ডেনমার্ক ২০৪০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা ও স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছে। আজ সোমবার ডেনিশ ক্যানসার সোসাইটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমনকি ২০৪০ সালের আগেও কম নারীরা যাতে এই রোগে আক্রান্ত হন, সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে; যাতে ২০৪০ সালের আগেও রোগটি নির্মূল হয়েছে বলে মনে হয়। তাহলে এটিই হবে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্যানসার নির্মূলের ঘটনা।
ডেনিশ মেডিকেল জার্নাল ইউজেসক্রিফ ফর লেগারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে ডেনমার্কে প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে ১০ জনের কম নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি এক লাখের মধ্যে চারজনের কম নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হলে সেটি নির্মূল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়। ডেনমার্কে ১২ বছর বয়সী ৮৯ শতাংশ ছেলে-মেয়েকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
২০০৮-০৯ সালের দিকে কিশোরীদের জন্য বিনা মূল্যে এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। আর ছেলেদের জন্য চালু হয় ২০১৯ সালে।
ডেনমার্কে ৬০ শতাংশ নারী বিনা মূল্যে এইচপিভি ভাইরাসের পরীক্ষা করান; যা নির্ধারিত লক্ষ্য ৭০ শতাংশ থেকে কিছুটা কম।