৪১ বছর বয়সেও কেন ক্রিকেট খেলছেন অলক কাপালি
Published: 24th, March 2025 GMT
চৈত্রের খরতাপেও একাডেমি মাঠে ব্যস্ততা। কোনো টুর্নামেন্ট এলে এখানকার দৃশ্যটা পরিচিতই—গাদাগাদি করে কয়েক দলের অনুশীলন। এর মধ্যেই একজনকে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল তরুণ কিছু ক্রিকেটারকে। নাম শুনলে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিতে ভেসে আসতে পারে অনেক গল্পই।
অলক কাপালির বয়স এখন ৪১ হয়ে গেছে। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বয়সের দিক দিয়ে তাঁর চেয়ে বড় আর কোনো ক্রিকেটার নেই। ঘরোয়া ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দিক দিয়েও কেউ আছেন কি না, সেটি জানতেই অলকের কাছে প্রশ্ন ছিল—ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম কবে খেলেছিলেন?
আরও পড়ুনআমি তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি: নীনার এ কথা শুনে কী বলেছিলেন ভিভ রিচার্ডস ২৩ মার্চ ২০২৫ঢাকার ক্রিকেটে অলকের শুরু ১৯৯৯ সালে অমরজ্যোতি ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে। পরের বছর ট্রায়াল দিয়ে সুযোগ পান ভিক্টোরিয়াতে। দুই ম্যাচেই থেমেছিল সেবারের যাত্রা। প্রথম পেশাদার চুক্তির জন্য অলককে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও দুই বছর। ভিক্টোরিয়াতে ২০০২ সালে খেলে খালেদ মাসুদের নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়নও হয়ে যান তাঁরা।
৪১ বছর বয়সে এবার প্রিমিয়ার লিগ খেলছেন অলক কাপালি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শতবর্ষী ঐতিহ্যে চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলা, কৃষিপণ্যের বাহারে মুখর পীরের বাজার
শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার পীরের বাজারে শুরু হয়েছে বৃহৎ বৈশাখী মেলা, স্থানীয়ভাবে যা 'বান্নি' নামে পরিচিত। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলাটি চুনারুঘাটসহ সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মেলা শুরু হয় এবং মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কৃষিপণ্যের বিশাল সমাহার। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে লাঙল, জোয়াল, দা, কাঁচি, মই, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ অসংখ্য কৃষি উপকরণ। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, হস্তশিল্প ও মনিহারি পণ্যেরও ছিলো চোখধাঁধানো উপস্থিতি।
স্থানীয় দোকানিরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। শুধু হবিগঞ্জ নয়, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী এমনকি উত্তরবঙ্গ থেকেও বিক্রেতারা অংশ নিয়েছেন এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে।
চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু বলেন, এই মেলা মূলত কৃষকদের জন্য। এখান থেকে প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতেন তারা।
তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় মেলার জৌলুস কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। সেইসঙ্গে আশপাশে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠায় মেলার পরিসরও সীমিত হয়েছে।
স্থানীয় ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, মেলায় অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। মেলা চলাকালীন নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ বাহিনী, নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শত বছর আগে এই মেলা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে পূজা আয়োজনের মাধ্যমে। পরে তা বৃহৎ মেলায় রূপ নেয়।
এখনও অনেকেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করতে এই মেলায় আসেন, স্মৃতিচারণ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেলায় পরিবেশিত হচ্ছে গ্রামবাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
চুনারুঘাটের এই বৈশাখী মেলা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি এ অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক জীবনের প্রতিচ্ছবি।