ইস্তাম্বুলের মেয়র আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার, চলছে ব্যাপক বিক্ষোভ
Published: 24th, March 2025 GMT
দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যেই তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। দুর্নীতির অভিযোগে গতকাল রোববার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ইমামোগলুকে আটকের প্রতিবাদে গত শনিবার চতুর্থ রাতের মতো দেশটির বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
ইস্তাম্বুলের মেয়রকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। এ ছাড়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহযোগিতা করার দ্বিতীয় অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নাকচ করে দেন আদালত।
গত বুধবার ইমামোগলুকে নিজ বাড়িতে আটকের পর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। ২০১৩ সালের পর এই বিক্ষোভকে সবচেয়ে বড় বলে মনে করা হচ্ছে। ওই বিক্ষোভে আটজন নিহত হয়েছিলেন।
এদিকে ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানোর পর দেশটির প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছে, ‘হতাশার কিছু নেই! লড়াই চালিয়ে যাও।’
এমন সময় ইস্তাম্বুলের মেয়রকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো, যখন তাঁর দল সিএইচপির প্রাইমারিতে (প্রার্থী বাছাই) ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁকে দলের প্রার্থী করতে ভোটাভুটি চলছে। দলীয় সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও ভোট দিতে পারছেন।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মতো একমাত্র রাজনীতিক হিসেবে ইমামোগলুকে বিবেচনা করা হয়। এর আগে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় মেয়র ইমামোগলুর ডিপ্লোমা ডিগ্রি বাতিল করে। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। তবে শনিবার তিনি পুলিশকে বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘অনৈতিক ও ভিত্তিহীন’।
ইমামোগলুকে আটকের পর ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। শনিবার রাত নাগাদ তুরস্কের ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৫৫টিতে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডেনমার্ক ২০৪০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূল করতে চায়
ডেনমার্ক ২০৪০ সালের মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যানসার নির্মূলের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে দেশব্যাপী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা ও স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম এই লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করছে। আজ সোমবার ডেনিশ ক্যানসার সোসাইটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এমনকি ২০৪০ সালের আগেও কম নারীরা যাতে এই রোগে আক্রান্ত হন, সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে; যাতে ২০৪০ সালের আগেও রোগটি নির্মূল হয়েছে বলে মনে হয়। তাহলে এটিই হবে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ক্যানসার নির্মূলের ঘটনা।
ডেনিশ মেডিকেল জার্নাল ইউজেসক্রিফ ফর লেগারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে ডেনমার্কে প্রতি ১ লাখ নারীর মধ্যে ১০ জনের কম নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড অনুযায়ী, প্রতি এক লাখের মধ্যে চারজনের কম নারী জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত হলে সেটি নির্মূল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়। ডেনমার্কে ১২ বছর বয়সী ৮৯ শতাংশ ছেলে-মেয়েকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
২০০৮-০৯ সালের দিকে কিশোরীদের জন্য বিনা মূল্যে এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। আর ছেলেদের জন্য চালু হয় ২০১৯ সালে।
ডেনমার্কে ৬০ শতাংশ নারী বিনা মূল্যে এইচপিভি ভাইরাসের পরীক্ষা করান; যা নির্ধারিত লক্ষ্য ৭০ শতাংশ থেকে কিছুটা কম।