প্রথম লেগে ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরে চাপে ছিল পর্তুগাল। তবে ঘরের মাঠে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দল। সাত গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে ৫-২ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়ে ইউরো নেশন্স লিগের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে পর্তুগাল এগিয়ে গেছে ৫-৩ ব্যবধানে।

ম্যাচের শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল পর্তুগাল। তবে ষষ্ঠ মিনিটেই পেনাল্টি মিস করেন অধিনায়ক রোনালদো। এরপরও ৩৮ মিনিটে লিড পায় স্বাগতিকরা, যদিও গোলটি আসে ডেনিশ ডিফেন্ডার অ্যান্ডারসনের আত্মঘাতী ভুলে। ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হয়।

বিরতির পর সমতায় ফেরে ডেনমার্ক। ৫৬ মিনিটে রাসমুস ক্রিস্টেনসেনের গোলে ম্যাচে ফেরে অতিথিরা। তবে ৭২ মিনিটে রোনালদো গোল করে পর্তুগালকে আবার এগিয়ে দেন। কিন্তু চার মিনিট পরই আবার সমতা ফেরান ডেনমার্কের ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ৮৬ মিনিটে ফ্রান্সিসকো ট্রিনকাও গোল করে পর্তুগালকে তৃতীয়বারের মতো লিড এনে দেন। নির্ধারিত সময় শেষে দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচ দাঁড়ায় ৩-৩ সমতায়। এরপর অতিরিক্ত সময়ে জ্বলে ওঠে পর্তুগাল।

অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই দ্বিতীয়বারের মতো জালের দেখা পান ট্রিনকাও। ১১৫ মিনিটে গঞ্জালো রামোস ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন। শেষ পর্যন্ত ৫-২ গোলের জয়ে ও দুই লেগে ৫-৩ ব্যবধানে সেমিফাইনালে পৌঁছায় পর্তুগাল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ত গ ল পর ত গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আজ রাতের আকাশে দেখা যেতে পারে নক্ষত্র বিস্ফোরণের বিরল দৃশ্য

মহাকাশ মানেই যেন চমক। বিশাল মহাকাশজুড়ে প্রতিনিয়ত দেখা যায় নানা ধরনের মহাজাগতিক ঘটনা। কোনো কোনো ঘটনা স্বাভাবিক, প্রায় সব সময় দেখা যায়। আবার কিছু ঘটনা অনেক বছর পরপর দেখা যায়। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের আকাশ থেকে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা দেখা যেতে পারে। মহাকাশের নর্দান ক্রাউন নক্ষত্রমণ্ডলের টি করোনা বোরিয়ালিস বাইনারি স্টার সিস্টেমে থাকা একটি নক্ষত্র বিস্ফোরণের বিরল দৃশ্য খালি চোখেই দেখার সুযোগ মিলতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর ফলে ১৯৪৬ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশাল এক নক্ষত্র বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যাবে আকাশে।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, টি করোনা বোরিয়ালিস বাইনারি স্টার সিস্টেমে থাকা নক্ষত্রটি নোভা বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এ বিষয়ে এসইটিআই ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক মার্চিস জানিয়েছেন, নক্ষত্রটিতে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিস্ফোরণ ঘটবে। এই নক্ষত্র পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। এতে দুটি তারা রয়েছে, যেগুলো লাল দৈত্য ও সাদা বামন তারা নামে পরিচিত।

লাল দৈত্য তারাটি বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শীতল ও প্রসারিত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান নির্গত হচ্ছে। আর সাদা বামন তারার জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে ও ধীরে ধীরে শীতল হচ্ছে। এর ফলে সাদা বামন তারা ধীরে ধীরে লাল দৈত্য তারা থেকে উপাদান সংগ্রহ করছে। এরপর সাদা বামন তারায় একটি থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটবে। এই বিস্ফোরণের দৃশ্য পৃথিবী থেকে খালি চোখে দৃশ্যমান হবে। বিস্ফোরণের দৃশ্য কয়েক দিন রাতের আকাশে দেখা যেতে পারে।

আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ভ্যারিয়েবল স্টার অবজারভার্সের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মার্চ ও এপ্রিল মাসে নক্ষত্রটির উজ্জ্বলতা কমে গেছে। তখন বলা হয়েছিল, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে নক্ষত্রটির বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এর আগে ১৭৮৭, ১৮৬৬ ও ১৯৪৬ সালে নক্ষত্র বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল পৃথিবী থেকে। এ বিষয়ে নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের নোভা ইভেন্টের বিশেষজ্ঞ হাউন্সেল বলেন, অনেক উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিজ্ঞানী এসব ঘটনা দেখেছেন। জীবনে দেখার মতো দৃশ্য এটি।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ